ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি গুলি ও তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খানের ভাষ্য, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বাগেরহাট মডেল থানার পুলিশের যৌথ দলের সঙ্গে জেএমবির সন্দেহভাজন সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের ভাষ্য, রাখালগাছি ইউনিয়নের রসুলপুর সেতুর কাছে ১০ থেকে ১২ জন জেএমবি সদস্য নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। দিবাগত রাত একটার দিকে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমা ও গুলি ছোড়েন জেএমবির সদস্যরা। পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জেএমবির সদস্যরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ সুপার বলেন, নিহত ব্যক্তিকে জেএমবির সদস্য মনে করা হচ্ছে। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
নিহত ব্যক্তির লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী ইকবাল হোসেন বলেন, এই ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
