নারায়ণগঞ্জ; সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নয়জন প্রার্থী। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীরা ব্যক্তিগত সাতটি তথ্য হলফনামার মাধ্যমে জমা দিয়েছেন।
প্রধান দুই প্রার্থী আইভী ও সাখাওয়াতের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আইভীর বাৎসরিক আয় সাখাওয়াতের চেয়ে বেশি। বর্তমান মেয়র হিসেবে তিনি বছরে বেতন পান প্রায় ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। আর সাখাওয়াতের আয় প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আইভীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই বা ছিল না। কিন্তু সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। আর একটি মামলা বিচারাধীন এবং একটির তদন্ত চলছে। দুই প্রার্থীর কারোরই ঋণ নেই। তবে আইভী পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
আইভীর আয় বেশি হলেও সম্পদ বেশি সাখাওয়াতের। আইভীর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪২ লাখ টাকা আর সাখাওয়াত ও তাঁর পরিবারের ৯৭ লাখ টাকার সম্পদ আছে। তবে শুধু সাখাওয়াতের নিজের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৭ লাখ টাকা। চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করা আইভী তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে লিখেছেন ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি)। আর পেশায় আইনজীবী সাখাওয়াত লিখেছেন বিএ, এলএলবি। সাখাওয়াতের টয়োটা নোয়া মডেলের একটি ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। তবে আইভীর কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।
আইভীর সম্পদ
অস্থাবর সম্পদ: নগদ টাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৪৭১ টাকা। স্বর্ণ ও অন্য অলংকার ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ টাকার। আসবাব ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার।
স্থাবর সম্পত্তি: যৌথ মালিকানার ১১২ শতাংশ অকৃষিজমির ৮ ভাগের ১ ভাগের মালিক।
সাখাওয়াতের সম্পদ
অস্থাবর সম্পদ: নিজের নামে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ২২৯ টাকা। ব্যাংকে স্ত্রীর নামে ৫ হাজার ২৪৯ টাকা, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত স্ত্রীর নামে ৩০ হাজার টাকা। নিজের নামে একটি মাইক্রোবাস (টয়োটা নোয়া), দাম ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৭ টাকা। নিজের নামে স্বর্ণালংকার রয়েছে আড়াই লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৪০ ভরি সোনা (দুই লাখ টাকা)। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, আসবাব ৫০ হাজার টাকা, ব্যবসায় মূলধন ২৪ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পত্তি: নিজের নামে ১৪ লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে প্রায় তিন লাখ টাকার স্থাবর অকৃষিজমি আছে।