ঢাকা; গত কয়েকদিনে মিয়ানমার থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। তাদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে নির্যাতনের বিভীষিকার কথা। জানা যাচ্ছে, গণধর্ষণ, নির্যাতন আর হত্যার শিকার হয়েছেন তারা। বাংলাদেশের কক্সবাজারে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান জন ম্যাককিসিক আগেই বিবিসিকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ামনার কর্তৃপক্ষের অভিযান তাদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূল’ করে দেয়ার সমতুল্য। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু একটি সম্প্রদায় রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এ মাসের শুরুতে তাদের ওপর হামলা করতে শুরু করলে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ম্যাককিসিক বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ‘মানুষ হত্যা করছে, তাদের গুলি করছে, শিশুদের জবাই করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে ও লুটপাট করছে এবং এসব মানুষকে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করছে। বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার আন্তর্জাতিক আহ্বানকে ঠেকিয়ে রাখে ঢাকা। তারা মিয়ানমারকেই এসব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠদের প্রবেশ ঠেকাতে উদ্যোগ নিতে বলেছে। ম্যাককিসিক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের জন্য এখন সীমান্ত খুলে রাখার কথা বলা খুব কঠিন। কারণ এটা মিয়ানমার সরকারে রোহিঙ্গাদের ওপর আরো নির্যাতন চালাতে এবং মুসলিম সংখ্যালঘু এই জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করে দেয়ার আগ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য করার ইচ্ছা বাস্তবায়ন করাকে উৎসাহিত করবে।’
বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের মানবিক দুর্ভোগের কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন মোহাম্মদ আয়াজের মতো কিছু মরিয়া মানুষ বর্ণনা করেন কীভাবে সৈন্যরা তাদের গ্রামে হামলা করেছে এবং তার গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করেছে। দুই বছর বয়সী সন্তানকে কোলে করে নিয়ে আয়াজ বলেন, গ্রামের বাজারে সৈন্যরা কমপক্ষে ৩শ জনকে হত্যা করেছে এবং কয়েক ডজন নারীকে গণধর্ষণ করেছে। পরে তারা প্রায় ৩শ বাড়ি, মুসলিমদের দোকান ও একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই মসজিদেই ইমামতি করতেন আয়াজ। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘তারা গুলি করে আমার স্ত্রী জান্নাতুন নাইমকে হত্যা করে। ও ছিল সাত মাসের গর্ভবতী। আমি আমার দুই বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে একটি খালে আশ্রয় গ্রহণ করি। আমার ছোট্ট এই সন্তানকেও ওরা রাইফেলের বাঁট দিয়ে আঘাত করেছে।’ আয়াজ জানান, পালিয়ে আসার জন্য তাকে খরচ হিসেবে তার হাতঘড়ি ও জুতা দিয়ে দিতে হয়েছে এবং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
আশ্রয়ের সন্ধান করছেন এমন অনেক রোহিঙ্গাই বলেছেন, তারা দিনের পর দিন হেঁটেছেন এবং নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসার জন্য ছোট নৌকা ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশে লক্ষাধিক নিবন্ধিত রোহিঙ্গা বাস করে আসছেন দশকের পর দশক ধরে। সে কারণেই তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন। মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই রোহিঙ্গাদের ঘৃণা করে থাকে। তারা রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী মনে করে এবং তাদের ‘বাঙালি’ও বলে থাকে, যদিও রোহিঙ্গাদের অনেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাস করে আসছেন মিয়ানমারে। তাদের বেশির ভাগেরই বাস পশ্চিমের দরিদ্র প্রদেশ রাখাইনে। রোহিঙ্গাদের নেই নাগরিকত্ব, চলাচল ও কাজের ক্ষেত্রেও তাদের ওপর রয়েছে নানা বিধিনিষেধ। সংকট ঘনীভূত হলে বুধবার বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বিষয়টি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল ঠেকাতে আমাদের সীমান্তরক্ষীদের নিরন্তর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নারী, শিশু ও বয়স্কসহ দুর্দশাপীড়িত হাজারো মিয়ানমারের নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে হাজির হচ্ছে। সীমান্তে আরো হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে রয়েছে বলে খবর রয়েছে।’
সর্বশেষ সহিংসতা শুরু হলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তে প্রহরা জোরদার করেছে এবং কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সোমবার থেকে শুরু করে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে সীমান্তে ঠেকিয়েছেন। এসব টহল ও প্রহরাকে ফাঁকি দিয়ে চার দিন আগে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শহর টেকনাফে স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন কৃষক দীন মোহাম্মদ। তাদের সঙ্গে ছিল তাদের দুই সন্তান ও আরো তিনটি পরিবার। তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ঢুকে তারা (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী) আমাদের ৯ ও ১২ বছর বয়সী দুই ছেলেকে নিয়ে যায়। আমি জানি না তাদের সঙ্গে কী ঘটেছে। তারা মেয়েদের ধরে নিয়ে ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। আমাদের গ্রামের প্রায় ৫০ জন নারী ও মেয়ে নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে।’ তিনি জানান, গ্রামের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আর যারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তারাও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। পালিয়ে আসা জান্নাত আরা বলেন, তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ১৭ বছর বয়সী বোন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি পালিয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশে প্রবেশ করা জান্নাত আরা বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে তারা (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী) তাকে (বোন) নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি জানি না আমার মা এখন কোথায় রয়েছেন।’
রোহিঙ্গাদের নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী শহর টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে কয়েক শ’ রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই আবার এই ভয়ে পালিয়ে রয়েছেন যে তাদের মিয়ানমারে ফিরত পাঠানো হবে। বুধবার পুলিশ নারী ও শিশুসহ ৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে যাদের সীমান্ত পেরিয়ে ফিরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। রোহিঙ্গাদের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তারা এমনকি অল্পবয়সী মেয়ে ও শিশুদেরও হাতকড়া পরিয়েছে এবং তাদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করার জন্য নিয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, তারা যদি মিয়ানমারে ফিরে যায়, ‘নিশ্চিত মৃত্যু’র মুখে পড়তে হবে তাদের।
এদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সোমবার বলেছে, তারা স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবির মাধ্যমে উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের আরো এক হাজারেরও বেশি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা শনাক্ত করতে পেরেছেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। উল্টো তারা দাবি করছে, রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের মানবিক দুর্ভোগের কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন মোহাম্মদ আয়াজের মতো কিছু মরিয়া মানুষ বর্ণনা করেন কীভাবে সৈন্যরা তাদের গ্রামে হামলা করেছে এবং তার গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করেছে। দুই বছর বয়সী সন্তানকে কোলে করে নিয়ে আয়াজ বলেন, গ্রামের বাজারে সৈন্যরা কমপক্ষে ৩শ জনকে হত্যা করেছে এবং কয়েক ডজন নারীকে গণধর্ষণ করেছে। পরে তারা প্রায় ৩শ বাড়ি, মুসলিমদের দোকান ও একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই মসজিদেই ইমামতি করতেন আয়াজ। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘তারা গুলি করে আমার স্ত্রী জান্নাতুন নাইমকে হত্যা করে। ও ছিল সাত মাসের গর্ভবতী। আমি আমার দুই বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে একটি খালে আশ্রয় গ্রহণ করি। আমার ছোট্ট এই সন্তানকেও ওরা রাইফেলের বাঁট দিয়ে আঘাত করেছে।’ আয়াজ জানান, পালিয়ে আসার জন্য তাকে খরচ হিসেবে তার হাতঘড়ি ও জুতা দিয়ে দিতে হয়েছে এবং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
আশ্রয়ের সন্ধান করছেন এমন অনেক রোহিঙ্গাই বলেছেন, তারা দিনের পর দিন হেঁটেছেন এবং নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসার জন্য ছোট নৌকা ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশে লক্ষাধিক নিবন্ধিত রোহিঙ্গা বাস করে আসছেন দশকের পর দশক ধরে। সে কারণেই তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন। মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই রোহিঙ্গাদের ঘৃণা করে থাকে। তারা রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী মনে করে এবং তাদের ‘বাঙালি’ও বলে থাকে, যদিও রোহিঙ্গাদের অনেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাস করে আসছেন মিয়ানমারে। তাদের বেশির ভাগেরই বাস পশ্চিমের দরিদ্র প্রদেশ রাখাইনে। রোহিঙ্গাদের নেই নাগরিকত্ব, চলাচল ও কাজের ক্ষেত্রেও তাদের ওপর রয়েছে নানা বিধিনিষেধ। সংকট ঘনীভূত হলে বুধবার বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বিষয়টি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল ঠেকাতে আমাদের সীমান্তরক্ষীদের নিরন্তর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নারী, শিশু ও বয়স্কসহ দুর্দশাপীড়িত হাজারো মিয়ানমারের নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে হাজির হচ্ছে। সীমান্তে আরো হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে রয়েছে বলে খবর রয়েছে।’
সর্বশেষ সহিংসতা শুরু হলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তে প্রহরা জোরদার করেছে এবং কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সোমবার থেকে শুরু করে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে সীমান্তে ঠেকিয়েছেন। এসব টহল ও প্রহরাকে ফাঁকি দিয়ে চার দিন আগে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শহর টেকনাফে স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন কৃষক দীন মোহাম্মদ। তাদের সঙ্গে ছিল তাদের দুই সন্তান ও আরো তিনটি পরিবার। তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ঢুকে তারা (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী) আমাদের ৯ ও ১২ বছর বয়সী দুই ছেলেকে নিয়ে যায়। আমি জানি না তাদের সঙ্গে কী ঘটেছে। তারা মেয়েদের ধরে নিয়ে ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। আমাদের গ্রামের প্রায় ৫০ জন নারী ও মেয়ে নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে।’ তিনি জানান, গ্রামের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আর যারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তারাও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। পালিয়ে আসা জান্নাত আরা বলেন, তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ১৭ বছর বয়সী বোন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি পালিয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশে প্রবেশ করা জান্নাত আরা বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে তারা (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী) তাকে (বোন) নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি জানি না আমার মা এখন কোথায় রয়েছেন।’
রোহিঙ্গাদের নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী শহর টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে কয়েক শ’ রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই আবার এই ভয়ে পালিয়ে রয়েছেন যে তাদের মিয়ানমারে ফিরত পাঠানো হবে। বুধবার পুলিশ নারী ও শিশুসহ ৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে যাদের সীমান্ত পেরিয়ে ফিরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। রোহিঙ্গাদের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তারা এমনকি অল্পবয়সী মেয়ে ও শিশুদেরও হাতকড়া পরিয়েছে এবং তাদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করার জন্য নিয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, তারা যদি মিয়ানমারে ফিরে যায়, ‘নিশ্চিত মৃত্যু’র মুখে পড়তে হবে তাদের।
এদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সোমবার বলেছে, তারা স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবির মাধ্যমে উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের আরো এক হাজারেরও বেশি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা শনাক্ত করতে পেরেছেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। উল্টো তারা দাবি করছে, রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে।