কক্সবাজার; টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির কড়াকড়ি আরোপের পরও দালালরা গতিপথ পরিবর্তন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে। গত তিনদিনে বিজিবির নিরাপত্তার পর অনুপ্রবেশ অনেকটা কমেছে। প্রথমদিকে রোহিঙ্গারা টেকনাফ সীমান্তের ঝিমংখালী, লম্বাবিল, কান্জরপাড়া, খারাংখালী ও জাদীমোরা দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবির কড়াকড়ি থাকায় দালালরা নিজেদের ফায়দা হাসিলে নতুন গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে দমদমিয়াস্থ ওমর খাল, নয়াপাড়া, মোচনী, লেদা, আনোয়ার প্রজেক্ট, উলুবনিয়া, খারাংগাঘোনা উল্লেখ্যযোগ্য। শুক্রবার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ২৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মানবিক সহায়তাপূর্বক বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক করেছে।
এদিকে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে নতুন পথ আবিষ্কার করে কয়েকদিন ধরে সীমান্ত বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এসব রোহিঙ্গারা রাতের বেলায় সীমান্ত পার হয়ে এপারে আসছে। ফলে অনেকে অনুপ্রবেশকালে বখাটেদের হাতে লুটপাট, ছিনতাই ও শ্লীলতাহানীর শিকার হচ্ছে। যারা অনুপ্রবেশ করে আসতে সক্ষম হয়েছে ওই সব রোহিঙ্গা টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্প ও লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তিতে (টাল) আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আত্মীয়স্বজনের বাসায় অবস্থান করছে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাফ নদী হয়ে সীমান্তের হোয়াইক্যংয়ের খারাইংগা ঘোনা, মিনা বাজার, খারাংখালী, কান্জর পাড়া, লম্বাবিল, হ্নীলার জাদিমুরা, নোয়াপাড়া, লেদা, মোচনী, নাইট্যং পাড়া, কায়ুকখালী খাল দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে। কোন রকমে প্রাণে বেঁচে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও অনেকে খাদ্যাভাবে দিনাতিপাত করছে বলে জানান ওইসব রোহিঙ্গা। কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারের মিলিটারী বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও নীপিড়ন করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। পুরুষদের ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হচ্ছে। যাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে রোহিঙ্গারা নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু নতুন দেশে এসে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর বাড়ীতে অবস্থান করলেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তাদের সহায় সম্বল যা ছিল অনুপ্রবেশকালে তাও দালালদের দিয়ে দিয়েছে। অনেকে অর্ধহারে অনাহারে রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষুধার্ত চেহারা দেখলে হৃদয় মুচড়ে উঠার মতো। একদিকে খাদ্যের জন্য হাহাকার অপরদিকে শীতের রাতে অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে সদ্য অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় মানুষ হিসেবে বাঁচতে বাংলাদেশসহ বিশ্ব্রে ধনাঢ্য দেশের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। নতুনভাবে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে ধারণা সচেতনমহলের। তবে কত পরিমাণ ঢুকে পড়েছে তার কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। অপরদিকে এপর্যন্ত কোন আন্তর্জাতিক বা দেশীয় সংস্থা তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। এদিকে ২৫শে নভেম্বর বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন টেকনাফে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কতজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে এবং কতজনকে প্রতিহত করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানায়নি। তিনি জানান, কোনভাবেই সীমান্ত খুলে দেয়া হবে না। তাদের প্রতিহত করতে বিজিবি জওয়ানরা সীমান্তে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সীমান্তে বিজিবি জওয়ানরা কড়া প্রহরায় রয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করলেও তাদের প্রতিহত করা হচ্ছে।
এদিকে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে নতুন পথ আবিষ্কার করে কয়েকদিন ধরে সীমান্ত বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এসব রোহিঙ্গারা রাতের বেলায় সীমান্ত পার হয়ে এপারে আসছে। ফলে অনেকে অনুপ্রবেশকালে বখাটেদের হাতে লুটপাট, ছিনতাই ও শ্লীলতাহানীর শিকার হচ্ছে। যারা অনুপ্রবেশ করে আসতে সক্ষম হয়েছে ওই সব রোহিঙ্গা টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্প ও লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তিতে (টাল) আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আত্মীয়স্বজনের বাসায় অবস্থান করছে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাফ নদী হয়ে সীমান্তের হোয়াইক্যংয়ের খারাইংগা ঘোনা, মিনা বাজার, খারাংখালী, কান্জর পাড়া, লম্বাবিল, হ্নীলার জাদিমুরা, নোয়াপাড়া, লেদা, মোচনী, নাইট্যং পাড়া, কায়ুকখালী খাল দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে। কোন রকমে প্রাণে বেঁচে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও অনেকে খাদ্যাভাবে দিনাতিপাত করছে বলে জানান ওইসব রোহিঙ্গা। কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারের মিলিটারী বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও নীপিড়ন করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। পুরুষদের ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হচ্ছে। যাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে রোহিঙ্গারা নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু নতুন দেশে এসে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর বাড়ীতে অবস্থান করলেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তাদের সহায় সম্বল যা ছিল অনুপ্রবেশকালে তাও দালালদের দিয়ে দিয়েছে। অনেকে অর্ধহারে অনাহারে রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষুধার্ত চেহারা দেখলে হৃদয় মুচড়ে উঠার মতো। একদিকে খাদ্যের জন্য হাহাকার অপরদিকে শীতের রাতে অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে সদ্য অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় মানুষ হিসেবে বাঁচতে বাংলাদেশসহ বিশ্ব্রে ধনাঢ্য দেশের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। নতুনভাবে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে ধারণা সচেতনমহলের। তবে কত পরিমাণ ঢুকে পড়েছে তার কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। অপরদিকে এপর্যন্ত কোন আন্তর্জাতিক বা দেশীয় সংস্থা তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। এদিকে ২৫শে নভেম্বর বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন টেকনাফে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কতজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে এবং কতজনকে প্রতিহত করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানায়নি। তিনি জানান, কোনভাবেই সীমান্ত খুলে দেয়া হবে না। তাদের প্রতিহত করতে বিজিবি জওয়ানরা সীমান্তে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সীমান্তে বিজিবি জওয়ানরা কড়া প্রহরায় রয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করলেও তাদের প্রতিহত করা হচ্ছে।