গ্রাম বাংলা ডেস্ক: রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মামলা করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নূর মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসারকে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
আজ রোববার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। বাদি মশিউর মালেক মামলা দায়েরের কথা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দণ্ডবিধির ১২৩ (ক) ধারায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। ১৯ নম্বর সিএমএম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।
এর আগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করতে গত মঙ্গলবার সকালে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান মশিউর মালেক। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের আইজি বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি।
লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলা দায়ের করে তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করার উদ্যোগ নিতে বলা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ইয়র্ক হলের এক সভায় জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন তারেক রহমান, যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর নামেও কটূক্তি করেন তারেক রহমান। বঙ্গবন্ধুকে ‘পাকবন্ধু’ বলা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে বিকৃত করার শামিল বলে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
আর এসব কারণেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
তিন দিন পার হওয়ার পরে সরকার ব্যবস্থা না নেয়ায় নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন মশিউর মালেক।