এম এ কাহার বকুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় মিথ্যা কমলা চুরির অভিযোগে সাকিবুজ্জামান সাকিব (৭) নামের এক শিশুকে বেধড়ক মারধর করেছে নূর ইসলাম নামের এক পাষান্ড। খবর পেয়ে পুলিশ নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে নিয়ে আসেন।
আহত সাকিব উপজেলার কেতকীবাড়ি নূরানী তালিমুল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনীতে লেখা পড়া করে। সে কেতকীবাড়ি গ্রামের অটোরিক্সা চালক আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (24 নভেম্বর) দুপুরে গুরতর আহত সাকিবুজ্জামান সাকিব (৭) কে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন নিয়ে প্রচন্ড ব্যাথায় কাতরাচ্ছে শিশুটি।
আহত সাকিব জানায়, প্রতিদিনের মতো বই খাতা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ও সকালে মাদ্রাসা যাচ্ছিল সে। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিঃমি দূরে মাদ্রাসা সংলগ্ন বাসিন্দা নূরইসলাম তাকে গতি রোধ করে। পরে তাকে গাছের কমলা চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে কোদালের ডান্ডা (বাঁশ যুক্ত লাঠি) দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। উপড়ে তুলে মাঠিতে ফেলে আছাড় দেন। শিশুটির পা ধরে টানা হেচড়া করে। মাটিতে ফেলে তাকে পা দিয়েও চেপে ধরেন নূর ইসলাম।
শিশুটির বাবা আনোয়ারুল ইসলাম বলে, আমার ছোট্ট বাচ্চাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে না এলে হয়তো সে আমার ছেলেকে প্রাণে মরে ফেলত। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের জন্য তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
নওদাবাস ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ড সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, গাছের কমলা ছেড়া কে কেন্দ্র করে এক শিশু কে মারধর করেছে বলে শুনেছি।
কেতকীবাড়ি নূরানী তালিমুল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাহিদ হাসান বলেন, আমি রংপুরে থাকায় বিষয়টি মুঠোফোনে জেনেছি। তাই মাদ্রাসা ফিরে কমিটির লোকজনসহ বসে সাকিবকে মারধরের বিচার পেতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- ইতিমধ্যে নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং তার নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।