ঢাকা; বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা।
তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারই হবে খালেদা জিয়ার ভাষায় ‘সহায়ক সরকার’। এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা সাত দফা প্রস্তাব দেন নাজমুল হুদা। বলেন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শাসক দল ঠিক কাজটিই করেছে।
নাজমুল হুদার প্রস্তাবনাগুলো হল- ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, ভোটার পরিচয়পত্র হিসেবে পাসপোর্ট প্রবর্তন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো, সার্বক্ষণিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন। এসময় তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার এখন কোনো দুর্বলতা নেই। এ বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলেও আমি মনে করিনা। আগামী নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই হতে হবে।
আমার প্রস্তাব মেনে নির্বাচন করলে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেন, মনে রাখা ভালো, যারা মনে করেন এখনই নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করেন। আমি মনে করি একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত এবং বহুক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতার কারনে এককালের জনপ্রিয় দল বিএনপি আজ জনগনের আস্থা হারিয়েছে। এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে উবে গেছে। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনার একের পর এক সফলতা অর্জন, অর্থনীতিতে, উন্নয়নে, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে, আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি সমৃদ্ধ করনে, আজ আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি রাজনীতিতে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কোন দুর্বলতা নেই। নির্বাচন করতে তাঁর কারো সঙ্গে কথা বলার কোন প্রয়োজন আছে বলেও আমি মনে করিনা।