গত সোমবার সন্ধ্যায় ও গভীর রাতে পৃথক অভিযানে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া সারিয়াকান্দির রাশেদুর রহমান ওরফে সুমন (২৪), ঢাকার সাভারের শাহিদুল ইসলাম ওরফে শিপন (২৩) ও ভোলার চরফ্যাশনের মো. বাবু হাওলাদার ওরফে হোসেন (২৮)। র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার আব্বাস আলী (২৭) ও রংপুরের কাউনিয়ার সাব্বির হোসেন ওরফে রাজু (২২)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর কাজলায় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিটের একটি দল। অভিযানে রাশেদুর রহমান, শাহিদুল ইসলাম ও বাবু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ১০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউজ পোর্টাল ডিএমপি নিউজে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর ওই তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন যে তাঁরা পুরোনো জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তাঁরা ডাকাতির কাজে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করেছিলেন। সংগ্রহকৃত অর্থের একটা অংশ তাঁরা সংগঠনের কাজে ব্যয় করতেন।
এদিকে র্যাব-১১–এর পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল হাসান গতকাল মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, সোমবার গভীর রাতে র্যাব-১১-এর সদস্যরা সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকা থেকে আনসারুল্লাহর দুই সদস্য আব্বাস আলী ও সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে উগ্র মতাদর্শের সাতটি বই, সরকার ও গণতন্ত্রবিরোধী প্রচারপত্র, দুটি চাপাতি ও দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
কামরুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল কাশিমপুর কারাগারে হামলা করে তাঁদের নেতা জসীমউদ্দিন রাহমানিকে মুক্ত করা। সে জন্য তাঁরা কাশিমপুর এলাকার কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয় করেছিলেন এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন।