মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অমানবিক নির্যাতন নেমে এসেছিল বিরোধী পক্ষের ওপর। অমানুষিক যন্ত্রণা এ দেশের মানুষ তখন ভোগ করেছিল। তাদের দুঃশাসনের কারণে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। সেই শেখ মুজিব সরকারের আমলে যা হয়েছে, এখন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তা–ই হচ্ছে। সেদিনও ২০ হাজার যুবককে হত্যা করা হয়েছিল। আজও তরুণ–যুবকদের একইভাবে হত্যা করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জনগণকে প্রতারণা করে বলেই ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। সে নির্বাচনে শতকরা পাঁচজন মানুষও ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির বিদায়ী সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আইনজীবী ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে যায় সম্মেলন কেন্দ্র। প্রশাসনের দেওয়া শর্ত ভঙ্গ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে সম্মেলনে আসেন নেতা-কর্মীরা। সকালের পর থেকে শহরের প্রধান সড়ক গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে স্টেশন রোড হয়ে একরামপুর পর্যন্ত যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। পরে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে সকালে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত কুলিয়ারচরের যুবদল নেতা হাসান আলীর শোকসভায় বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সরকার ধর্মহীনতায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের হাতে কোনো ধর্মই নিরাপদ নয়।