এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের চন্ডীমারী গ্রামে মাহামুদা বেগম নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মাহামুদা বেগম মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ছ্যাঁকনাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। শনিবার রাত ৮টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, দশ বছর আগে রাজপুর ইউনিয়নের চন্ডীমারী গ্রামের মেছের উদ্দিনের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ছ্যাঁকনাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে মাহামুদা বেগমের। বিয়ের পর তাদের সংসারে মামুন (৯) নামে এক ছেলে ও ৭ মাস বয়সের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে গৃহবধূ মাহমুদা বেগমকে শাশুড়ি মেহেনা বেগম বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যায় শ্বাশুড়ি মেহেনা বেগমের সাথে গৃহবধূ মাহমুদা বেগমের ঝগড়ার এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ ঘরে মাহমুদা বেগম আত্মহত্যা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।তবে নিহতের বাবা আবুল হোসেন জানান, পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করা পর লাশ ঝলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই শ্বাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাত তার মেয়ে মাহামুদার উপর। তিনি মেয়ের হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, মাহামুদা বেগমের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।