বগুড়া; দীর্ঘদিন তিনি দলীয় কার্যালয়ে আসেননি। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের থেকে দূরে থাকছেন। বিশেষ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো খোঁজও নেননি। দলের জেলা সভাপতি হিসেবেও তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। সব মিলেই নিজ দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের দানা বড় হতে থাকে। দীর্ঘ নয় মাস পর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে আসলে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেন। তিনি জেলা জাসদের সভাপতি ও বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন।
দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা জাসদের সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। সভা শুরুর আগ মুহূর্তে দুপুর একটার দিকে সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এ সময় নেতাকর্মীরা সভাপতির কাছে জানতে চান তিনি জাসদের কোন গ্রুপে আছেন। সভাপতি এর কোনো জবাব না দিয়ে সাধারণ সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। এতে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং সভাপতির উপর চড়াও হয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে কয়েকজন নেতাকর্মীর সহযোগিতায় সভাপতি দ্রুত দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, জেলা জাসদের সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দলীয় কার্যালয়ে কম আসেন। এছাড়াও তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে কতিপয় সুবিধাবাদী লোকজনের পরামর্শে কাজ করে থাকেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জাসদের মধ্যে গ্রুপিং দেখা দেয়ার পর থেকে বগুড়া জেলা সভাপতির ভূমিকা রহস্যজনক। এছাড়াও নানা কারণে নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষুদ্ধ। তবে জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লাঞ্ছনার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, সাধারণ সভা স্থগিত করায় নেতাকর্মীরা হৈ-চৈ করেছে মাত্র।