ঢাকা; ভারত তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরকে চলতি মাসের শেষে ঢাকায় প্রেরণ করছে। বাংলাদেশে চীন অব্যাহতভাবে তার রণকৌশলগত পদচিহ্ন রেখে চলার প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উন্নত করার লক্ষ্য থাকবে তার এ সফরে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নতুন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় সামরিক সরবরাহ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ এবং যৌথ মহড়াসহ সন্ত্রাস দমনে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা নিয়ে ৩০শে নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া তাঁর দুদিনের বাংলাদেশ সফরে আলোচিত হবে।
গত সোমবার বাংলাদেশের কাছে চীন প্রথমবারের মতো সাবমেরিন হস্তান্তরের পরপরই এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুইটি ডিজেল-বিদ্যুৎচালিত সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান সমুদ্রবন্দরে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনাকে ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক সামরিক সম্পর্কের বড় সূচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর। এই সময় ২৫ বিলিয়ন ডলারের ২৭টি চুক্তি হয়েছে। ভারত অবশ্যই চীনের অর্থনৈতিক শক্তি কিংবা তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্পখাতের সামনে দাঁড়াতে পারে না।
কিন্তু ভারত তা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, সিয়াচল এবং মরিশাস থেকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও নেপাল পর্যন্ত তার আঙিনায় বিস্তৃত অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তারকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। ভারত ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কাকে আকাশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অস্ত্র, রাডার এবং মাইন সুরক্ষিত ভেহিক্যাল সরবরাহ ছাড়াও ওই দ্বীপ রাষ্ট্রের জলসীমায় দুটি নেভাল অফশোর পেট্রল ভেসেলস (ওপিভি’স) নির্মাণ করছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, একইভাবে ভারত উদ্ভাবনীমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে ওপিভি সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়া সামগ্রিক সামর্থ্য বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ বাড়ানো হবে।
ঢাকার টাঙ্গাইলে বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়ার ষষ্ঠ পর্যায় ‘সম্প্রীতি’ চলমান রয়েছে। সূত্রটির মতে সন্ত্রাস দমনে প্রধান মনোযোগ রেখে এই অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করা হবে। এখন থেকে নিয়মিতভাবে দুদেশের সামরিক বাহিনী ও বায়ুসেনাদের মধ্যে মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিশ্চিতভাবে পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী গতি সঞ্চার করেছে। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বয়কট করে ঢাকা নয়াদিল্লির অবস্থানকে সমর্থন করেছে এবং তারা উভয় মিলে তাদের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা করছে।
চলতি বছরের গোড়ায় কক্সবাজারে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণের কাজ থেকে চীনকে বাদ দেয়ার ঘটনায় ভারত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের চীনের একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড-এর নীতিকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
অন্যদিকে ভারত গত তিন-চার বছর ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দুদেশ যৌথভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করা।
ভারত অবশ্য ২০০৯ সাল থেকে দুদেশের আর্মি টু আর্মি স্টাফ আলোচনা চালিয়ে আসছে। এ ধরনের আলোচনার যে কতটা গুরুত্ব তা বোঝা যায় এ উদাহরণ থেকে যে ভারত অভিন্ন স্টাফ আলোচনা যেসব দেশের সঙ্গে চালিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইসরাইল, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর।
গত সোমবার বাংলাদেশের কাছে চীন প্রথমবারের মতো সাবমেরিন হস্তান্তরের পরপরই এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুইটি ডিজেল-বিদ্যুৎচালিত সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান সমুদ্রবন্দরে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনাকে ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক সামরিক সম্পর্কের বড় সূচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর। এই সময় ২৫ বিলিয়ন ডলারের ২৭টি চুক্তি হয়েছে। ভারত অবশ্যই চীনের অর্থনৈতিক শক্তি কিংবা তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্পখাতের সামনে দাঁড়াতে পারে না।
কিন্তু ভারত তা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, সিয়াচল এবং মরিশাস থেকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও নেপাল পর্যন্ত তার আঙিনায় বিস্তৃত অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তারকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। ভারত ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কাকে আকাশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অস্ত্র, রাডার এবং মাইন সুরক্ষিত ভেহিক্যাল সরবরাহ ছাড়াও ওই দ্বীপ রাষ্ট্রের জলসীমায় দুটি নেভাল অফশোর পেট্রল ভেসেলস (ওপিভি’স) নির্মাণ করছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, একইভাবে ভারত উদ্ভাবনীমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে ওপিভি সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়া সামগ্রিক সামর্থ্য বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ বাড়ানো হবে।
ঢাকার টাঙ্গাইলে বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়ার ষষ্ঠ পর্যায় ‘সম্প্রীতি’ চলমান রয়েছে। সূত্রটির মতে সন্ত্রাস দমনে প্রধান মনোযোগ রেখে এই অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করা হবে। এখন থেকে নিয়মিতভাবে দুদেশের সামরিক বাহিনী ও বায়ুসেনাদের মধ্যে মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিশ্চিতভাবে পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী গতি সঞ্চার করেছে। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বয়কট করে ঢাকা নয়াদিল্লির অবস্থানকে সমর্থন করেছে এবং তারা উভয় মিলে তাদের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা করছে।
চলতি বছরের গোড়ায় কক্সবাজারে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণের কাজ থেকে চীনকে বাদ দেয়ার ঘটনায় ভারত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের চীনের একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড-এর নীতিকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
অন্যদিকে ভারত গত তিন-চার বছর ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দুদেশ যৌথভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করা।
ভারত অবশ্য ২০০৯ সাল থেকে দুদেশের আর্মি টু আর্মি স্টাফ আলোচনা চালিয়ে আসছে। এ ধরনের আলোচনার যে কতটা গুরুত্ব তা বোঝা যায় এ উদাহরণ থেকে যে ভারত অভিন্ন স্টাফ আলোচনা যেসব দেশের সঙ্গে চালিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইসরাইল, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর।