এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার মূল সড়কটি সাধারণ মানুষের জন্য মহা আতঙ্ক রূপে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তায় যাতায়াত করতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মানুষদের ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় ফটকের বিপরীত হয়ে প্রায় ১ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। উপজেলার ২৬ টি বিদ্যালয়ের ১০৯৪ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। অন্যদিকে মাস দুইয়েক পরে ঐ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তাছাড়া রাস্তাটি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পরীক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারন মানুষের চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি এক অঘোষিত মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। রাস্তার খোয়া পিচ উঠে খাল-খন্দে ভরে গেছে। দূর্ঘটনার ফলে যে কোন মুহুর্তে প্রাণ হানির সঙ্কা রয়েছে।
রাস্তাটির পাশে অবস্থিত সুমি হোটেলের স্বত্তাধিকারী মিন্টু মিয়াকে প্রায়ই লাঠি হাতে স্বেচ্ছায় ট্রাফিকের ন্যায় কাজ করতে দেখা যায়। তিনি জানান, আমি পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে যে সমস্ত গাড়ি এদিক দিয়ে যাতায়াত করে তাদের ঝুঁকিমুক্তভাবে যাতায়াতের জন্য সহযোগিতা করি।
অনেক পরীক্ষার্থী অভিযোগ জানায়, রাস্তা খারাপের কারণে অনেক সময় এখানে যানবাহনের ভীড় লেগে থাকে। এজন্য আমরা অনেক আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে রওনা হই।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক অভিভাবক বলেন, কারোই যেন এ রাস্তাটি চোখে পড়ে না। পড়ে না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের। তিনি আরো বলেন, ইউএনও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়েও পরীক্ষার্থীদের জীবনের কথা ভেবে রাস্তাটি চলাচল যোগ্য করেননি। আমাদের উপজেলায় ২ জন এমপি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ ইয়াসিন আলী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের (৩০১) সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা প্রতিনিয়িত এ রাস্তায় চলাচল করেন।
উল্লেখ্য যে, রাস্তার এই দুরবস্থা নিয়ে এর আগেও সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আলমগীর সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে রাস্তাটি চলাচলযোগ্য করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী বাজেটে এ রাস্তাটির আধুনিকায়ন করা হবে।