আবদুস সালামের বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামে। তিনি ভান্ডারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আবদুস সালাম গত সোমবার দুপুরে পাশের রাজাপুর উপজেলার আমতলা গ্রামে এক স্কুলশিক্ষিকার বাড়িতে যান। তাঁকে বিকেলে স্থানীয় সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানসহ দুই ব্যক্তি ওই বাড়ি থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। তাঁরা সহযোগীদের নিয়ে একই গ্রামের ঈদগাহ মাঠের কাছে পিটিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করেন। পরে হামলাকারীদের কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর তাঁরা আবদুস সালাম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে সেখানে তাঁর ভুয়া নাম-ঠিকানা লিখে রেখে চলে যান। পরে আবদুস সালামের স্বজনেরা খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। গভীর রাতে বাড়ি নিয়ে আসার পর আবদুস সালামের মৃত্যু হয়।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নয়, পিটিয়ে হত্যার সংবাদ পেয়ে গতকাল দুপুরে ভান্ডারিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজাস্থল থেকে আবদুস সালামের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রাজাপুর থানার পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার আমতলা গ্রামে গত সোমবার আবদুস সালাম খান নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা হয়েছে।