উম্মে মারিয়ার মা শরিফা ও তামিমা খাতুনের বাবা নাজমুল হোসেনের ভাষ্য, মঙ্গলবার দুপুরে দুই বান্ধবী টিফিনে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে যায়। স্কুল ছুটির পর উম্মে মারিয়া বাড়ি ফিরে আসে। বান্ধবী তামিমা খাতুনও তার বাড়িতে না গিয়ে মারিয়াদের বাড়িতেই আসে। তারা ঘরে ঢুকে গল্প করছিল। এ সময় মারিয়ার মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। মারিয়ার বাবা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মারিয়ার মা বাইরে থেকে ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে লাগানো। অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় তিনি কৌশলে বাইরে থেকেই দরজা খুলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তামিমা খাতুনের পরনে তখনো স্কুলের পোশাক ছিল। খবর পেয়ে মতিহার থানা-পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘর থেকে চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাবে না।’