মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির সোমবার বিকেলে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগ রোববার রাতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে বিলম্ব হওয়ায় মামলা রেকর্ড করতে বিলম্ব হয়েছে।’
কাজী জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের একটি পদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্ট্যাটাস দেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় নির্ধারিত প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুবিধার জন্য একদিন আগে ডাকযোগে কার্ড ইস্যু করা হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘সম্প্রতি কাজী জাহিদুর রহমান ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কার্যক্রম নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেছেন। সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিঠি দিয়ে তাঁকে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়। তিনি কোনো সদুত্তর না দিতে পারায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করেছে।’
জানতে চাইলে কাজী জাহিদুর রহমান বলেন, ‘বাইরের প্রতিষ্ঠান নিয়ে সমালোচনা করতে পারলে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়ে কেন সমালোচনা করতে পারব না? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি লিখেছি। যার যথেষ্ট তথ্য–প্রমাণ আমার কাছে আছে। মামলা হয়ে থাকলে তা আমি আইনগতভাবেই মোকাবিলা করব।’