গ্রাম বাংলা ডেস্ক: অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন কুমিল্লার চিরকুমার সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ৬৭ বছর বয়স্ক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
আগামী ৩১ অক্টোবর শুক্রবার তিনি ঘোড়ার গাড়ী ‘টমটমে’ চড়ে কণের বাড়ী যাবেন। আর পালকিতে ফিরবেন পাশে বউ হনুফা আক্তার রিক্তাকে নিয়ে। তার ভাষায় বিয়ে দেরিতে হলেও না হওয়ার চাইতে ভালো। এজন্য তিনি সবার দোয়াও চেয়েছেন। তবে রেলমন্ত্রীর বিয়ের খবরে হতাশা প্রকাশ করেছে কুমিল্লার চিরকুমার সমিতি।
এদিকে রেলমন্ত্রীর বিয়ে উপলক্ষে ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ৬৭ বছর বয়েসি রেলমন্ত্রীর এই বিয়েকে ঘিরে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক রসবোধের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে চলছে নানা রসাত্বক আলোচনা। পরিবারের সবার ছোট রেলমন্ত্রী তার বিয়ের অনুষ্ঠানকে ক্রুটিমুক্ত করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছেন।
বিয়ের দিন তিনি ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে কনের বাড়ি যাবেন। আর বউকে নিয়ে ফিরবেন পালকিতে করে। রেলমন্ত্রীর বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে ১৪ নভেম্বর শুক্রবার ঢাকায়। জাতীয় সংসদের ২ নং এলডি হলে বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রেলমন্ত্রী ও তার স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাবেন।
অপরদিকে দেশের ‘কনফার্মড ব্যাচেলর’ হিসেবে পরিচিত রেলমন্ত্রী বিয়ের খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন কুমিল্লার চিরকুমার সমিতি সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ২০০১ সালে কুমিল্লার অবিবাহিত পুরুষদের নিয়ে চিরকুমার সমিতির পথচলা শুরু। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বর্তমান রেলমন্ত্রী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তার মতে এই বয়সে মন্ত্রীর সাহস দেখে অনেকেই সাহসী হয়ে উঠলে সমিতির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তে পারে। তার হঠাৎ করে তার বিয়ের খবরে সমিতির সদস্যরা খুশি হলেও অনেকটা অবিভাবকহীন হয়ে পড়লো। তাদের ভয় রেলমন্ত্রীর পথ ধরে অনেকেই এখন বিয়েতে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এ অবস্থায় সমিতির ভবিষ্যত নিয়েও তারা শঙ্কিত বলে একাধিক সদস্য জানান।
সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো সদস্য বিয়ে করলে তাকে ‘অব্যাহতিপত্র’ তুলে দেয়া হয়। মন্ত্রীকেও এই পত্র তুলে দেবেন তারা। সমিতির সদস্যদের বিয়ের দাওয়াত দিয়েছেন মন্ত্রী।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ সিনিয়র রাজনীতিক ও সংসদের সাড়ে তিনশ এমপির কাছে দাওয়াতপত্র পৌঁছানো হয়েছে। তার এপিএস সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিয়ের আমন্ত্রণপত্র বিলি শুরু করলেও তা এখনো শেষ করতে পারেননি। সংসদের প্রায় হাজারখানেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দাওয়াত দেবেন রেলমন্ত্রী। এছাড়া দাওয়াত পাবে তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকতা-কর্মচারীরা।
বিয়ের কার্ড অনুযায়ী কনে হনুফা আক্তার রিক্তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মীরাখলা গ্রামে। রেলমন্ত্রীর হবু শ্বশুরের নাম মরহুম হাসিব উল্লা মুন্সী।