বরিশাল; আগৈলঝাড়ায় সংসার চালাতে টাকা চাইলে প্রবাসীর স্ত্রী’কে পাগল আখ্যা দিয়ে গত ১০ দিন যাবত শিকলে তালাবদ্ধ করে রেখেছে ভাসুর ও পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে পুলিশের ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের দুবাই প্রবাসী বাবুল বৈদ্যের স্ত্রী দু’সন্তানের জননী ময়না বৈদ্য (৩৫) তার স্বামীর বাড়ি বড় বাশাইল গ্রামের বসবাস করছেন। ময়নার স্বামী বাবুল সংসার চালাতে দুবাই থেকে প্রতি মাসে ভাসুরের নামে টাকা পাঠাত। সংসার চালানোর টাকা ময়না চাইতে গেলে ভাসুর বিপুল বৈদ্য ও শাশুরী গোলাপী রানীসহ তার পরিবারের লোকজন ময়নাকে পাগল আখ্যা দিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে সোমবার (১০ দিন) পর্যন্ত লোহার শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে একটি ঘরে আটক রাখে। সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা আটককৃত ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলতে গেলে গৃহবধূ ময়না তালাবদ্ধ অবস্থায় গ্যাসের চুলায় রান্না করা অবস্থায় জানায়, সে পাগল নয়। সে দীর্ঘদিন জর্ডান থেকে গত তিনবছর পূর্বে বাড়ি আসে। তার স্বামী এখন দুবাই রয়েছে। বিদেশে থেকে তার স্বামী যে টাকা পাঠায় তার ভাসুর বিপুল বৈদ্য ও শাশুরী গোলাপী রানী ওই টাকা আত্মসাৎ করার অসৎ উদ্দেশ্যে তাকে পাগল সাজিয়ে সমাজে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার করছে। সে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে কাজ করে সংসার চালায়। বিদেশ থেকে তার আনা ¯¦র্ণালংকার শাশুরী ও ভাসুর আত্মসাৎ করেছে। সে আরও জানায়, স্থানীয় এক চিকিৎসককে দিয়ে জোর করে তাকে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে। তাতে সে আরও অসুস্থ হয়ে পরছে।
অভিযুক্ত ভাসুর বিপুল বৈদ্য জানান, ময়না পুরোপুরি একজন পাগল। তাকে চিকিৎসার জন্য শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে কোন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে তার নাম বা প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেননি। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এ খবর জেনে আগৈলঝাড়া থানার ওসি এসআই শাহজালালকে ঘটনাস্থলে পাঠালে তিনি গিয়ে শিকলে আটক গৃহবধূ ময়নাকে অবমুক্ত করে তার সুচিকিৎসার জন্য ওই পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ রিপোট লেখার সময় পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।