ঝিনাইদহের খবর

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

jhenidah-field-day-photo-08-11-16-1

সন্ধান চেয়ে স্ত্রীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারের কাছে আকুতি
স্বাভাবিক জীবনেও ভাল থাকতে পারছেন না ঝিনাইদহের রবি !

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়ার এক সময়ের চিহ্নিত সাবেক মাদক ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি ভাল হতে চান। কিন্তু বিশেষ মহল তাকে ভাল হতে দিচ্ছে না। স্বাভাবিক জীবন যাপন করে এনজিও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রবি সামাজিক উন্নয়নের কাজ করতে চাইলেও পদে পদে বাঁধা আসছে। মাদক ব্যবসা ছেড়ে তিনি এখন “রবির আলো সমাজ কল্যান সংস্থা” নামে একটি এনজিও পরিচালনা করছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদনে রবির স্ত্রী মোছাঃ কোকিলা আক্তর রানু এক মানবিক আবদনে জানিয়ে এ সব তথ্য জানান সাংবাদিকদের। আবেদনে স্ত্রী কোকিলা আক্তর রানু উল্লেখ করেন, গত নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমার স্বামী মোবাইল কেনার জন্য ঝিনাইদহ শহরের যান।

ঝিনাইদহ শহরের প্রধান ডাকঘরের সামনে ভাই শাহীনের সাথে থাকাবস্থায় সাদা পোশাকে পুলিশ প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে স্বামী রবিকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। যার মাইক্রোবাস নং-চট্ট মেট্রো চ-৫১-০০৭৪।

মাইক্রোবাসের ড্রাইভারের নাম ইমরান বলে পরে আমরা জানতে পেরেছি। এরপর হইতে আমার স্বামীর কোন সন্ধান পাচ্ছি না। পুলিশ বা ডিবির লোকেরা আমার স্বামীকে আটকের কথা অস্বীকার করছে। আমি সদর থানায় ডায়েরি করতে গেলেও আমার ডায়েরী গ্রহন করা হয়নি। এখন আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৯২৮-৫৬৩৮৫৮ বন্ধ পাওয়া যাইতেছে। স্বামীকে না পেয়ে আমি অথৈ সাগরে পড়েছি।

কলেজ পড়–য়া দুইটি কন্যা এবং আমার পরিবারের লোকজন মর্মাহত। আমার স্বামীর খোঁজ না পেলে কন্যা দুইটি অসহায় হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে তাদের লেখাপড়া। কোকিলা আক্তর রানু জানান, আমার শ্বাশুড়ী অতি বৃদ্ধা এবং অন্ধ। ছেলের শোকে তিনিও মৃত্যু শয্যায় শায়িত আছে। যে কোন সময় তিনি ইন্তেকাল করতে পারেন। কোকিলা আক্তর রানু মানবিক কারণে স্বামীকে ফেরৎ দাবী পাওয়ার দাবী জানিয়েছেন।

ঝিনাইদহে রেডিও গ্রাফি স্কানিংয়ের মাধ্যমে মানবদেহের রোগ নির্ণয় !
ঝিনাইদহে বিশ্ব রেডিওগ্রাফি দিবস পালিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে বিশ্ব রেডিওগ্রাফি দিবস পালিত হয়েছে ‘মান নিশ্চিতে রেডিওগ্রাফাররাই প্রধান ভূমিকা পালন করে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়। ঝিনাইদহ জেলা শাখা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ্যাসোসিয়েশন এ কর্মসুচির আয়োজন করে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল চত্তর থেকে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিভিল সার্জনের কার্যালয় হয়ে হাসপাতাল মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।

এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম, সিনিয়র গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইমদাদুল হক, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ স্বপন কুমার কুন্ডু, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ্যাসোসিয়েশন এর জেলা সভাপতি কার্তিক গোপাল বিশ্বাস, রেডিও গ্রাফার মোহাম্মদ হানিফ সহ মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রেডিও গ্রাফি স্কানিংয়ের মাধ্যমে মানবদেহের রোগ নির্ণয় করে থাকে। আর এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসকরা মানুসের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তাই রেডিও গ্রাফির কাজে যারা নিরয়োজিত তাদেরকে আরো বেশী দক্ষতরা সাথে কাজ করার জন্য আহবান জানান বক্তারা।

ঝিনাইদহে জামায়াতের ছাড়ায়
৮ টি পরিবারের উপর চলছে মধ্যযুগীয় অত্যাচার নির্যাতন ! প্রশাসন নিরব কেন ?
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাতের রাজনীতি থেকে সরে আসার কারনে একটি পরিবারের উপর শুরু হয়েছে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন। যা থেকে তাদের কোন পরিত্রাণের উপায় খুজে পাচ্ছে না পরিবারটি। একের পর এক কোর্টে ও থানায় মামলা করে মুক্তি মেলেনি পরিবার গুলির। এমন কি বাঁচার জন্য থানায় মামলা করেও নিজেরাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ত্রিবেণী ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম বোয়ালিয়া । এই গ্রামের মৃত নজর আলীর ছেলে সাহিদুর রহমান, তৈবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম এবং মৃত তোরাপ আলীদের পুত্র হোমিও ডাঃ কোবাদ আলী, জোয়াদ আলী, সাবিরুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম এই ৮ টি পরিবারের প্রায় ৪০ জন লোক জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।

কিন্তু দেশ ব্যাপী জামাত শিবিরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে ২০১৩ সালের পরে এরা জামাত শিবিরের রাজনীতি পরিত্যাগ করে। এই পরিত্যাগ করার আগে এদের কোন সমস্যা ছিল না। পরিত্যাগ করার পরেই এদের উপর শুরু হয় বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন। এই ৮ টি পরিবারে বিভিন্ন ভাবে দফায় দফায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে।

আটটি পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, বাড়ির লোকজনের মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া হয়। এদের ক্ষেতের প্রায় ৫০ বিঘা জমির বিভিন্ন প্রকার ফসল বিনষ্ট করা হয়। তারমধ্যে, ১) সাহিদুর রহমানের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুল্যের ৮ টি মেহগনি গাছ জোর করে কেটে নেয়। ২) তবিবুর রহমানের ১৭ হাজার টাকা মুল্যের কাঁঠাল, ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুল্যের বাঁশ, ৪০ হাজার টাকা মুল্যের ২ টি মেহগনি গাছ, ৪ হাজার টাকা মুল্যের কলা কেটে নেয়। ৩) সিরাজুল ইসলামের ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকার কলা, ১০ হাজার টাকার ওলকচু এবং ১৭ হাজার ৪০ শত টাকার বাঁশ কেটে নেয়। ৪) আব্দুল অয়াহেদের ৭৯ হাজার টাকার কলা, ২ হাজার ৪ শত টাকার কাঁঠাল ও ৪৫ হাজার টাকার বাঁশ কেটে নেয়। ৫) কোবাদ আলীর ৪৮ হাজার টাকার কলা ও ৫ হাজার টাকার বাঁশ কেটে নেয়। ৬) জোয়াদ আলীর ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার বাঁশ, ৭০ হাজার টাকার মেহগনি, বেল, তেতুল, শিমুল, দেবদারু ও সড়া গাছ, ১৭ হাজার ৫ শত টাকা কলা কেটে নেয়। ৭) সবিরুল ইসলামের ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার কলা, ৬০ হাজার টাকার আম, ১০ হাজার ৪ শত টাকার বাঁশ, ৩ হাজার ২০০ টাকার ঝাল ক্ষেত থেকে তুলে নেয়। ৮) আমিরুল ইসলামের ৯৪ হাজার টাকার কলা, ১০ হাজার ৪ শত টাকার বাঁশ, ১৫ হাজার টাকা মুল্যের ১ টি মেহগনি গাছ কেটে নেয়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য সবিরুল ইসলাম বলেন, আমরা জামতের রাজনীতির সাথে ছিলাম ২০১৩ সাল হতে জামাত বাদ দেওয়ার পর থেকে বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে বাবুল আখতারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে ইউনুস-ইমদাদুল সহ প্রায় ২০/২৫ জনের একটি দল প্রতিনিয়ত আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে।

সবিরুল ইসলাম আরো বলেন, বাবুল আখতারের এক বোন ছালেহা খাতুন কালু নামের জামাতের মহিলা রোকন বিভিন্ন স্থানে মহিলাদের তালিম দিয়ে বেড়ায়। বাবুল আখতারের বাড়ীতেই জামাত-শিবিরের তালিম দেওয়ার একটি ঘর আছে। এরা শুধু এই সকল অপকর্মে করেই থেমে নেই এই চক্তটি গত ১০/১০/২০১৬ তারিখে আমাদের পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে বাড়ির মেয়ে ছেলে সহ আমাকে আহত করে আমার হাত ভেঙ্গে দেয়। আমি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এদের নামে আদালতে একাধিক মামলা আছে। তারপরেও এরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। এরা আমাদের ঘর থেকে বাহির হতে দেয় না এবং মাঠের ফসল চাষ করতে বাধা গ্রস্ত করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শৈলকূপা থানায় সি আর ৮১/১৬, সি আর ৮৬/১৬, জি আর ১৩৮/১৬, ঝিনাইদহ জেলা আদালতে মামলা নম্বর ৭২/১৬ ও ৭ ধারা সহ সর্ব মোট ৪ টি মামলা রয়েছে বাবুল আখতারের নামে।

এই প্রসঙ্গে শৈালকুপার ত্রিবেণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম খান ঘটনাটা স্বীকার করে বলেন, কয়েক দিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে ডাকা হলে অভিযুক্ত পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি। তার পরেও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে মামলার কোন আসামী ঘুরে বেড়ালে পুলিশ গ্রেফতার করবে না সেটা ঠিক না।

ঝিনাইদহে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-৬২ ধানের ওপর !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২’র ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে শৈলকুপা উপজেলার যুগনী গ্রামের কৃষক বাবু লাল মন্ডলের বাড়িতে এ দিবসের আয়োজন করে উন্নয়ন ধারা ও হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ নামে দুটি সংস্থা।

স্বাধীন কৃষক সংগঠন আবাইপুর ইউনিয়নের সভাপতি রুবায়েত হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের এ আর ডিও মজিবর রহমান, উন্নয়ন ধারার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম, এআরপি প্রকল্প সমন্বয়কারী কৃষিবিদ রাজু আহম্মেদ, উপ-কৃষি কর্মকর্তা লিটন আহম্মেদ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ’র উন্নয়ন ধারার প্রকল্প সমন্বয়কারী কৃষিবিদ কৃষ্ণ দাস সাহা। অনুষ্ঠানে ওই এলাকার শতাধিক কৃষক, কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২’র উপকারিতা ও ফলন নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে তারা মাঠ থেকে ব্রি ধান-৬২ কাটার উদ্বোধন করা হয়।

ঝিনাইদহে মেধাবি ছাত্র ভ্যান চালক সোহেলের টাকার অভাবে কি লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে ?
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ২ নং মির্জাপুর ইউনিয়ের বড়দাহ গ্রামের ভ্যান চালক বাদশার ছেলে সোহেলের টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানাগেছে, প্রায় ৪০ বছর আগে আনিপুর গ্রামের রব্বান মোল্লা ভাটই বাজারে হারিয়ে যাওয়া ৪ বছরের একটি ছেলে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।

সে বলতে পারে না কোথায় তার বাড়ি কে তার বাবা মা। তারপর আর তার কেউ কোন খোঁজ খবর নিতে আসেনি। নাম তার বাদশা। সেই থেকে ধীরে ধীরে রব্বান মোল্লার বাড়িতে বড় হয় বাদশা। কখন ক্ষেতে দিন মজুর বিক্রয় কখন ভ্যান চালিয়ে রোজগার করে বাদশা।

এ ভাবেই একদিন ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গা ঘেসে কোন রকমে মাথা গোজার ঠাই হয় বাদশার। বাদশা আজও জানে না তার প্রকৃত তার বাবা মা কে ? বাদশা বিয়ে করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চেউনিয়া গ্রামের হত দরিদ্র মৃত আকবর মুন্সীর মেয়ে বিউটি খাতুন কে। এখানেই এদের ঘর আলো করে একে একে ৩ টি সন্তান। ভ্যান চালিয়ে ও পরের ক্ষেতে দিন মজুরের কাজ করে অনেক আসা নিয়ে তার বড় ছেলে সোহেল কে বড়দাহ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪.৮১ পেয়ে দাখিল পাশ করে, পরে গাড়াগঞ্জ জিন্না আলম ডিগ্রী কলেজ থেকে এই বছরে ৩.৫৮ গ্রেডে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। কিন্তু এখন আর সম্ভব হছে না সোহেলের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার। তাই ভ্যান চালক বাদশা অকুল আকুতি জানিয়ে সমাজের সহৃদয় ব্যাক্তিদের প্রতি।

বাদশার সোহেলি নামের একটি মেয়ে বড়দাহ দাখিল মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণী ও ছোট্ট মেয়ে বড়দাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

বাদশা বলেন, সৃজনী এনজিও থেকে লোন নিয়ে ভ্যান ক্রয় করে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিয়ে পরিবারের খরচ চালিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চালান সম্ভব না। জীবনের সাথে নিজে অনেক যুদ্ধ করেছি স্বপ্ন ছিল ছেলে কে লেখাপড়া শিখায়ে মানুষের মত মানুষ করে তুলব।

ঝিনাইদহের সেই মসলেম পেলেন ফেসবুকের বদৌলতে বয়স্ক ভাতার কার্ড !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
পাঠকদের ঝিনাইদহ শহর সংলগ্ন কোরাপাড়া বটতলা এলাকার কলোনীপাড়ার সেই হতদরিদ্র মসলেমের কথা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। যাকে নিয়ে আমি ফেসবুকে, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, নিউজ পোর্টালে একটা প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। খবরটি মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেশ বিদেশে।

বৃদ্ধ বয়সে সমলেমের এই দু:সহ যন্ত্রনার খবর পড়ে ব্যথিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যায়ের বিভিন্ন উইং, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়, সমাজসেবার ডিজি মহোদয়, মান্যবর ঝিনাইদেহর জেলা প্রশাসক, ঝিনাইদহ সমাজ সেবার ডিডি মহোদয় ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

সবাই হতদরিদ্র মসলেমের পাশে দাড়ান। জেলা সমাজসেবা অফিস তাৎক্ষনাৎ মসলেমকে দশ হাজার টাকা প্রদান করেন। সেই টাকা জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার মসলেমের হাতে তুলে দেন। সেই চিত্রও আমরা আপনাদের জানিয়েছি।

ঘটনার পরদিন ফেসবুকে খবর পড়ে ঝিনাইদহ শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা হোসেন খান ছুটে যান মসলেমের জীর্ন কুঠিরে। তথ্য সংগ্রহ করে তাকে দ্রুত বয়স্ক ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। অবশেষে সেই কাজটি মঙ্গলবার সমাধান করে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান। দেরি না করে তিনি মসলেমের হাতে তুলে দেন বয়স্ক ভাতার কার্ড।

অপেক্ষায় থাকা সেই মহেন্দ্রক্ষনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত হন গরীব মসলেম। দারিদ্রতা পরোপুরি জয় করতে না পারলেও কিছুনা স্বস্তি মিলেছে তার। জয় হলো মানবতার।

ঝিনাইদহে আবারও পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডারদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চুক্তিবাতিলের প্রতিবাদে ও চাকুরী স্থায়ী করনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।

মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদ লীগ জেলা শাখার উদ্দোগে এসব কর্মসুচী পালন করা হয়। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মুল ফটকে এসে শেষ হয়। সেখানে তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় সংগঠনের জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন, সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ সাঈদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চুক্তি বাতিলের প্রতিবাদ ও চাকুরী স্থায়ী করনের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান। তাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তিতে আরো কঠোর কর্মসুচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

আ’লীগ নেতার উপর হামলার ভিডিও ‘ভাইরাল’ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় এক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার ওপর সাম্প্রতিক হামলার একটি ভিডিওচিত্র ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধার উপর হামলা হয়।

হামলাকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি এবং শৈলকূপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনা সিকদারের অনুসারী বলে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বজনরা জানিয়েছেন। সোনা সিকদার এক সময় জাসদ করতেন। প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা মুক্তারের উপর হামলার ভিডিওচিত্র ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, হামলাকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন দলে সংশ্লিষ্ট। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় জেলা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বর্তমানে তারা মুক্ত রয়েছেন। আক্রান্ত মুক্তার মৃধার ছেলে সুমন মৃধা ভিডিওচিত্র দেখে বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে প্রথমে হিট করে যাদব, যাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনা সিকদারের বডিগার্ড হিসাবে স্থানীয়রা জানে।

এর পরপরই (২য় ব্যক্তি) হাতুড়ি দিয়ে পায়ে আঘাত করে রিপন, এই ব্যক্তিও সোনা সিকদারের বডিগার্ড। “দৃশ্যপটে উপস্থিত তৃতীয় ব্যক্তি (লালগেঞ্জি পরা) হরিহারা গ্রামের সুমন। তিনি সোনা সিকদারের ছেলে ইকুর সঙ্গে চলাফেরা করেন।” ভিডিওতে এর পরপরই লালগেঞ্জি পরা সুমনের হাত থেকে লোহার পাইপ কেড়ে নিয়ে আক্রমণে দেখা যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাওন সিকদারকে (সাদা চেক পোলো শার্ট)।

উপর্যুপরি আটটি আঘাত করতে দেখা যায় তাকে। পরে বাঁচাতে আসা লালগেঞ্জি পরা এক ব্যক্তিকেও পেটাতে পেটাতে রাস্তার দিকে নিয়ে যান তিনি। ভিডিওচিত্রে আরও দেখা যায়, কিছুক্ষণের জন্য আক্রমণ থেমে যাওয়ার পর চাপাতি হাতে এগিয়ে আসে সোনা শিকদারের লোক বলে পরিচিত সাচ্চু।

পর পর কয়েকটি কোপ দেন তিনি। সবশেষে দেখা যায় শাওন শিকদারকে আবার তেড়ে এসে পাইপ দিয়ে আবার পেটাতে। সুমন মৃধা আরও বলেন, আক্রমণকারীদের সহযোগী হিসাবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কর্নেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম মোল্যা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম সিকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব বাহাদুর ছিলেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *