খুলনা; সৎ পিতার প্ররোচনায় হোসেন নামের দশ মাসের ছেলেকে তারই মা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুলনা রেলস্টেশন সংলগ্ন রকেট ঘাটের ফুটপাত থেকে গতকাল সকাল ৮টার দিকে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার মা ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খুলনা সদর থানার এসআই মিহির জানান, নগরীর ৫নং ঘাট এলাকার ইউসুফ হাওলাদারের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে দুই বছর আগে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল শেখের বিয়ে হয়। দশ মাস আগে তাদের ঘরে একটি ছেলেশিশু জন্ম গ্রহণ করে। শিশুটির বয়স যখন দুই মাস তখন রুবেলের সঙ্গে ফাতেমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর আবারও ফাতেমা বেগম নগরীর বার্মাশীল রোডের মাদক ব্যবসায়ী মুল্লুক চাঁনের সঙ্গে পরিচয় এবং গত চারদিন আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মুল্লুক চান বলে আসছিল পরের বাচ্চা নিয়ে তুমি আমার সংসার করতে পারবা না। রুবেলের বাচ্চা রুবেলকে ফেরত দাও। এই নিয়ে তাকে চাপ সৃষ্টি করে। গতকাল রেলস্টেশন সংলগ্ন রকেট ঘাটের ফুটপথ থেকে বাচ্চাটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং লাশের পাশে থাকা তার মা ফাতেমা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। লাশ খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আটক ফাতেমা বেগম জানান, রোববার রাতে তার শিশুপুত্রকে নিয়ে রকেট ঘাটের ফুটপথে ঘুমিয়ে ছিলাম। সোমবার সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাচ্চাটা মৃত। তবে সে স্বীকার করে-বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মুল্লুক চাঁন বাচ্চাসহ ঘরে তুলবে না বলে চাপ দিতে থাকে।
উল্লেখ্য, রুবেল ও মুল্লুক চাঁনের আগে আমির হোসেন নামে আরো একজন স্বামী ছিল। সে ঘরে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা মাদারীপুর থাকে।
আটক ফাতেমা বেগম জানান, রোববার রাতে তার শিশুপুত্রকে নিয়ে রকেট ঘাটের ফুটপথে ঘুমিয়ে ছিলাম। সোমবার সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাচ্চাটা মৃত। তবে সে স্বীকার করে-বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মুল্লুক চাঁন বাচ্চাসহ ঘরে তুলবে না বলে চাপ দিতে থাকে।
উল্লেখ্য, রুবেল ও মুল্লুক চাঁনের আগে আমির হোসেন নামে আরো একজন স্বামী ছিল। সে ঘরে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা মাদারীপুর থাকে।