ঝিনাইদহে এনজিও কর্মী রবিকে পাঁচ দিনেও ফেরৎ দেয়নি জিডিও নেয়নি – রবির স্ত্রী !

Slider গ্রাম বাংলা

ngo-robi-pic-jhenaidah-11
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় এলাকা থেকে সাদা পোশাকে রবিউল ইসলাম রবি নামের এক এনজিও কর্মীকে জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল ইমরানের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার দুপুরে রবিউল ইসলামের স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু এ তথ্য জানিয়েছেন। রবিউল ইসলাম শহরের চাকলাপাড়ার মৃত লুৎফর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে তার স্বামী ঝিনাইদহ শহরে যান।

ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে ইমরান নামে জেমিনির কনেস্টেবল তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সময় রবির সাথে থাকা শাহীন, স্থানীয় দোকানদার ও আশপাশে দাড়িয়ে থাকা লোকজন দেখেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু।

রবিকে সেখান থেকে গলির মধ্যে নিয়ে সাদা একটি মাইক্রাবাসে অস্ত্রেও মুখে তুলে নেয় জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল ইমরান। সেই থেকে আজ অবধি পাঁচ দিন ধরে এনজিও কর্মী রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজ আছেন।

এরপর থেকেই রবি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার বলেন তিন, চার দিন পরে আসবেন-বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে রবির স্ত্রী সোমবার আবার ঝিনাইদহে সদর থানায় জিডি করতে গেলে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার কোকিলা আক্তার রানুর দেওয়া জিডি পত্রটি নিয়ে তার অফিস ড্রয়ারে রেখে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু।

কোকিলা আরো বলেন ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে গেলে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।

ঝিনাইদহ সদর থানায় রবি নিখোঁজের জিডি না নিলে আগামি কাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জর্জকোর্টে রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানানো যাবে।

এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার জেমিনি ফোর্সের এস আই আমিনুল ইসলাম বিষয়টি অস্বিকার করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইমরান নামে জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল আছে-তবে সে কাউকেই ধরেনি। তাছাড়া আমি বিষয়টি জানিনা।

উল্লেখ্য, গতবুধবার বিকালে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী কাউছার আলীকে তুলে আনেন।

পুলিশ প্রথমে অস্বীকার করলেও কর্মচারীদের আন্দোলনের হুমকীতে বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় কাউছার তাদের হেফাজতে আছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *