দিবসটি উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় গিয়ে ৭ নভেম্বর দিনটিকে সব সময় অবমূল্যায়ন করেছে। এখন আওয়ামী লীগ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এই দিন সম্পর্কে বিকৃত ইতিহাস বর্ণনা করছে।
দিনটি উপলক্ষে কাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁরা প্রত্যাশা করেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে চালু রাখার জন্য বিএনপির যে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেই অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দেবে। সমাবেশের অনুমতি দেবে এবং বিএনপি একটি সমাবেশ করার সুযোগ পাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিনষ্ট করা এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে খারাপভাবে দেখাতে এ ধরনের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের লোকেরাই। পত্রপত্রিকায়ও এসেছে, কারা এর নেতৃত্ব দিয়েছে। তাতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, এই সরকারের দলের লোকেরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপরে সেই দোষ চাপায়। সেটা অত্যন্ত বিকৃত এবং হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার শামিল। এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সৈনিক ও জনগণ এক হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছিল। জনগণ বন্দী অবস্থা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে তাঁর কাছে দায়িত্ব অর্পণ করেছিল। সেদিন থেকেই আধুনিক বাংলাদেশের নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছিল।
জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল থেকে মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হন।