এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ হঠাৎ করেই অপরাধনগরীতে পরিণত হয়েছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রতিহিংসা, সাম্প্রদায়িকতা, শিশু ধর্ষণ, ছিনতাই সবমিলিয়ে একটি নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি গ্রামে চাঞ্চল্যকর দুটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী হত্যা মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামগুলো পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। গ্রাম দুটি হলো- হরিপুর উপজেলার উত্তর সোনামতি ও রাণীশংকৈল উপজেলার মশালডাঙ্গী গ্রাম।
উল্লেখ্য যে, সোনামতি গ্রামের শাজাহান আলী মিলু এর সাথে মশালডাঙ্গী গ্রামের জবায়ের আলীর সাথে ৩৬ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জবায়ের আলী তার লোকজনসহ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাজাহান আলী মিলুর দখলে থাকা ধান ক্ষেত থেকে ধান কেটে জমি দখল করতে আসে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে শাজাহান আলী মিলু (৬০) গুরুতর জখম হয়ে মারা যায়। এসময় উভয়পক্ষের ১২/১৩ জন আহত হয়। আহতরা রাণীশংকৈল. ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত শাজাহান আলী মিলুর লাশ গতকাল (৪ নভেম্বর) শুক্রবার বিকালে দাফন করা হয়েছে।
হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুছ বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছাই এবং সংঘর্ষে জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করি। এরা হলো- ইব্রাহিম (৪২), আবুল কাশেম (৪৫), মজিবর ওরফে চৈতু (৪৮), রশিদুল (৪২), মুশা কলিমদ্দিন (৬৮), সামশুদ্দিন (৬৫), সাজু (১৩), মতিউর (১৮), আজিমউদ্দিন (৬৫), কফিলউদ্দিন (৮৫)। এদের অধিকাংশরাই হাসপাতলে চিকিৎসাধীন পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, হত্যা মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্ত আসামীদের অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে।
অপরদিকে, হত্যা মামলার আসামীসহ সাধারণ মানুষ পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছে।