টঙ্গী; এগার বছরের এক শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শিশুর নাম সোফিয়া আক্তার। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শিশুর খালু আকরাম হোসেনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, বাঘেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার ভা-ার খোলা কদমতলী গ্রামের মো. মিলন মিয়া স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে টঙ্গী খাঁ পাড়ার তাহের খাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে তিন শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে মিলন ভ্যান গাড়ি চালাতে যান এবং তার স্ত্রী রেখা বেগম যান গার্মেন্টসে। সন্ধ্যায় তারা বাসায় এসে বড় মেয়ে সোফিয়াকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন সোফিয়ার খালা। গত ২-৩ দিন আগে গ্রামের বাড়ি থেকে ওই বাসায় আসেন সোফিয়ার খালু। খালা শুকুরন বিবিও গার্মেন্টে চাকরি করেন। দিনভর খালু থাকেন একাকি বাসায়। এদিকে রেখা বেগম হন্যে হয়ে সোফিয়াকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বোন শুকুরনের বাসায় যান। সেখানে শুকুরনের ঘরের চকির ওপর বালিশের নিচে সন্ধান মিলে সোফিয়ার। তবে জীবিত নয়, মৃত। এসময় রেখার ভগ্নিপতি আকরামের গতিবিদি সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে দেয়া হয়। এব্যাপারে নিহত সোফিয়ার বাবা মিলন মিয়া বাদী হয়ে টঙ্গী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আকরামকে শুক্রবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
নিহত সোফিয়ার মা রেখা জানান, আকরামের বাড়িও বাঘেরহাটে। আকরাম গ্রামের বাড়িতে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে। সে প্রায় ১০ বছর আগে শুকুরনকে বিবাহ করার বছর খানেক পর আরো একটি বিবাহ করে। এ ঘটনায় মামলা হলে জেল খাটে আকরাম। এনিয়ে রেখা বেগমদের সঙ্গে আকরামের শুত্রুতা তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন পর ভগ্নিপতি আকরামের সঙ্গে দেখা হলেও কোন কথা বলেননি রেখা বেগম। ফলে সোফিয়াকে হত্যা করে আকরাম প্রতিশোধ নেয় বলে ধারণা রেখার।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গী মডেল থানার এসআই মো. মাহমুদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছেÑ পূর্ব বিরোধের জেরে সোফিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের খালুকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।