গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাত ব্যক্তির টাকা দিয়েও হজে যাওয়া হয়নি
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হজগমনেচ্ছু সাত ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বজরা হলদিয়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান মন্ডল নামে এক ব্যক্তি হজে পাঠানোর কথা বলে ওই সাত ব্যক্তির কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও তারা হজে যেতে পারেননি এবং ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাননি। অভিযুক্ত মোকলেছুর রহমান মন্ডল বজরা হলদিয়া গ্রামের মৃত নুরুল হক মন্ডলের ছেলে।
ভুক্তভোগী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজিবপুর গ্রামের আবুল কাশেম ও মজিবর রহমান জানান, ২০১৫ সালে হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোকলেছুর রহমান মন্ডলের সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা করে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো তারা টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু ওই বছর মোকলেছুর রহমান তাদের হজে পাঠাতে পারেননি। এ ছাড়া একইভাবে বেলা খাতুন, মমতাজ আলী, নুরুজ্জামান সরকার, বাদশা মিয়া ও রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে আড়াই লাখ করে ১৭ লাখ টাকা আদায় করেন মোকলেছুর রহমান। তারাও হজে যেতে পারেননি।
নুরুজ্জামান সরকার ও বাদশা মিয়া জানান, মোকলেছুর রহমান হজে পাঠানোর কথা বলে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি দুই বছরে কাউকে হজে পাঠাতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক হলে মোকলেছুর রহমান মন্ডল তাদের হজে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এ বছরও তিনি পাঠাতে ব্যর্থ হন। ফলে ২০১৫-২০১৬ সালে দুই বছরে একজনকেও হজে পাঠাতে পারেননি মোকলেছুর রহমান।
এদিকে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরতের জন্য বিষয়টি গাইবান্ধা জেলা হাজিকল্যাণ সমিতির সভাপতিকে অবগত করেন। পরে সভাপতিসহ সমিতির লোকজনের উপস্থিতিতে মোকলেছুর রহমানের নিজবাড়িতে আবার বৈঠক হয়। বৈঠকে মোকলেছুর রহমান তিনশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন।
এর মধ্যে ১ নভেম্বর তিন লাখ ৫০ হাজার, ১৫ ডিসেম্বর সাত লাখ ও ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি বাকি সাত লাখ টাকা দেয়ার কথা স্ট্যাম্পে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ১ নভেম্বর অতিবাহিত হলে টাকা ফেরত দেননি মোকলেছুর রহমান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোকলেছুর রহমানের ছেলে গালামাল ব্যবসায়ী সবুর মন্ডলের সঙ্গে দালাল চক্রের আঁতাত রয়েছে। এ কারণে হজে পাঠানোর কথা বলে প্রতি বছর মোকলেছুর রহমান হজগমনেচ্ছু ব্যক্তিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন। পরে এসব টাকা কেউ ফেরত পাননি। অভিযোগের বিষয়ে মোকলেছুর রহমানে সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিককে লাঞ্চিতের প্রতিবাদে পলাশবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিবাদ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী মনোহরপুরের দৈনিক জনসংকেত প্রতিনিধি হেদায়েত উলাহকে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউপি আওয়ামী লীগ নেতার ছদ্দাবরনে নানা অপরাধ কর্মের হোতা মাহাবুব প্রধান কর্তৃক মারপিট/ লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে পলাশবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।
এ উপলক্ষে শক্রবার সবিকাল ৩টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুল ইসলাম রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পলাশবাড়ী গনজাগরন মঞ্চের সদস্য সচিব সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম, সংগঠনের সাংগঠনিক মোশফেকুর রহমান রিপন, সাংবাদিক,সোহেল রানা ,শহিদুল,আসলাম রাজ্জাক প্রমূখ।
সভায় অবিলম্বে সাংবাদিক লাঞ্চিতকারী মাহাবুব প্রধানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি প্রদান করেন।
গোবিন্দগঞ্জে পুকুরে পড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুকুরের পানিতে পড়ে মারুফ (১০) নামের চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রের মূত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গেলে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার গন্ধববাড়ী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। মারুফ বিশুবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
এলাকাবাসী জানায়, মারুফ দুপুরে পুকুরে গোসল করতে নামে। সে একটি বালতি নিয়ে পুকুরে ডুব দেয়। কিছুক্ষণ পর তার বালতি ভেসে উঠলেও তার আর খোঁজ মেলে না। এলাকাবাসী পুকুরে নানা ভাবে তাকে খুঁজতে থাকে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারুফের মরদেহ ভেসে উঠে।