নীলফামারী; নীলফামারীর ডিমলা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার মাদকদ্রব্য দিয়ে কলেজছাত্রীর বাবাকে ফাঁসাতে গিয়ে জেনারুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতা নিজেই ফেঁসে গেছেন ।
তিনি উপজেলা খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং দোহলপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ করেন ডিমলা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের পুত্র জেনারুল ইসলাম (৩৫) ডিমলা মহিলা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের এক ছাত্রী ও ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের শাহজান আলী কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
জেনারুল দুই সন্তানের জনক হলেও কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় মেয়েটির বাবাকে ফাঁসানোর জন্য বুধবার সন্ধ্যায় ২৫ পিচ ইয়ারা ও ২০ পুরিয়া গাঁজা বাড়িতে রেখে এসে পুলিশকে সংবাদ দেন।
রাতে ডিমলা থানার এসআই শাহাবুদ্দিন, পুলিশসহ সেখানে অভিযান চালিয়ে গাজা ও ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় জেনারুল পুলিশের সঙ্গে ছিলেন। পরে কলেজ ছাত্রীটির অভিযোগের ভিত্তিতে জেনারুলকে পুলিশ আটক করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবীর কলেজ ছাত্রীটির সাথে অভিযুক্ত জেনারুলকে মুখোমুখি জিজ্ঞাবাদ করলেও আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
ফিরোজ কবীর বলেন, জেনারুল ছাত্রীটির পিতা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে নিজেই ফেঁসে গেছেন।
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আটককৃত জেনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।