স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, শিক্ষক আটক

Slider টপ নিউজ

25517_ds

রাজশাহী; রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১৫) ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছেন। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩৮)। তিনি উপজেলার দ্বিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে। নির্যাতিত ওই ছাত্রী একই স্কুলে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি উপজেলার বালিগ্রামে।

এজাহারের বরাত দিয়ে গোদাগাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা পাশের গ্রামে ইসলামী জলসা শুনতে যান। বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রী একাই ছিলো। এই সুযোগে রাত ৯টার দিকে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে গেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় শিক্ষক শহিদুলকে আটক করা হয়। এসময় এলাকার লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। রাতেই থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
গোদাগাড়ী থানা পুলিশ জানায়, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই শিক্ষক শহিদুলকে আদালতের প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতিত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম লাইব্রেরিয়ানের চাকরি করলেও বাংলা বিষয়ের ক্লাস নিতেন তিনি। দেড় বছর আগে থেকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শহিদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে বলে জানা যায়।
এদিকে, শহিদুলকে স্কুল থেকে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় লোকজন ও স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *