ঝিনাইদহ প্রতিনিধি; ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসে কর্মরত অবস্থায় বুধবার বিকালে কাওছার আলী নামে এক সরকারী চাকরীজীবিকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা। এ নিয়ে অফিসটিতে আতংক বিরাজ করছে। দিনে দুপুরে সরকারী অফিসে হানা দিয়ে এ ধরণের কর্মকান্ডে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী কাওছার আলী সদর উপজেলার ঘোপপাড়া গ্রামের মৃত কুড়োন মন্ডলের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ শহরের ছবিঘর পাড়ায় বসবাস করেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কাওছার আলী নিজের অফিসে কাজ করছিলেন। এ সময় কালো মাইক্রোবাসে একদল সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী অফিসে ঢুকে হাতকড়া পরিয়ে কাওছারকে তুলে নিয়ে যায়। তারা সাদা পোশাকের পুলিশ নাকি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তা এখনো নিরূপন করা যায়নি। তবে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে সাদা পাশোকে থাকা ব্যক্তিদের সবার কাছে অস্ত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিণাকুন্ডু ইউএনও অফিসের এক কর্মচারী এদের মধ্যে রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছেন, যিনি হরিণাকুন্ডুর সোনাতনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভিন জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মাহাতাব হোসেন জানান, কে বা করা নিয়ে গেছে তা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঝিনাইদহ ডিবির ওসি এম এ হাসেম খান জানান, আমাদের কোন টিম হরিণাকুন্ডু যায়নি। তারপরও বিষয়টি খোজ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বড় রায়গ্রাম থেকে পুলিশ পরিচয়ে জের আলী ও সিঙ্গেরবাজার থেকে ফারাশপুর গ্রামের সাঈদ নামে দুই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয় হয়েছে। তাদের কোন খোঁজ মিলছে না। দুই পরিবারের স্বজনরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে পুলিশ তাদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।