ঝিনাইদহের খবর

Slider খুলনা

arriest-pic-jhenaidah

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫টি অস্ত্রসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অস্ত্র ও বিপুল পরিমান মাদকসহ ৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৬। বুধবার ভোর রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বাদুরগাছা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পে’র কোম্পানী কমান্ডার মেজর মনির আহম্মদ প্রেস ব্রিফিং এ জানান. গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে মাদক ও অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেসময় সেখান থেকে বারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর দুই ভাই সোহেল, সোহান রানা এবং একই গ্রামের কনক ও সাতক্ষীরার জামালকে আটক করা হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১টি দেশী তৈরী রিভলবার, ৪টি শার্টার গান, ও ৩’শ ২১ বোতল ফেন্সিডিল এবং ৭’শ ৯৫ পিচ ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাব দাবি করে।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবার বারবাজার রেলওয়ে মাছের আড়ত থেকে বারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ৫ জনকে র‌্যাব মাদকদ্রব্য ও বোমাসহ আটক করে র‌্যাব ৬।

ঝিনাইদহে এবার নারী সদস্যা লাঞ্চিত পুরুষ ইউপি সদস্যের হাতে !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুরুষ ইউপি সদস্যের কাছে এক নারী ইউপি সদস্যা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

এলাকাবাসী ও লাঞ্ছনার শিকার ওই নারী অভিযোগ করেন, গত ৩০শে অক্টোবর বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নারী সদস্যা সাহেরা খাতুন ও পুরুষ সদস্য পল্লাদ বাবু মিটিং শেষ করে সলেমানপুর বাড়ি ফেরার পথে চার পুকুর নামক স্থানে পৌঁছালে পল্লাদ সাহেরাকে কু-প্রস্তাব দেন ও লাঞ্ছিত করেন।

এ সময় সাহেরা আত্মরক্ষার্থে পল্লাদ বাবুকে জুতা পেটা করতে থাকেন এবং চিৎকার করতে থাকেন। এসময় তার চেচামেচিতে পল্লাদ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলেও জানান সাহেরা।

এদিকে ইউপি সদস্য পল্লাদ দাবি করেন, সাহেরা তাকে অপমান করেছে এবং তিনি সাহেরাকে লাঞ্চিত করেন নি।

সাহেরা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে ওই লম্পট ইউপি সদস্যের নামে থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, তারা অভিযোগ পেয়েছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ঝিনাইদহে ৫ দিন ব্যাপী আয়কর মেলা শুরু !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
‘উদ্ভাবনে বাড়বে কর, দেশ হবে স্বনির্ভর শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে ৫ দিন ব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের মাওলানা ভাষানী সড়কে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

খুলনা কর আপীল অঞ্চল এর যুগ্ম কর কমিশনার মু: মহিতুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন, জেলা আয়কর আইনজীবি সমিতির সভাপতি খােন্দকার মাহবুবুল আলম, কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট কর্মকর্তা রােকসানা খাতুন, আয়কর আইনজীবি সমিতির সহ-সভাপতি অশােক কুমার দাস।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা আগামী ৫ নভেম্বর শেষ হবে। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আয়কর দাতাগণ আয়কর প্রদাণ করতে পারবেন।

এ মেলার মাধ্যমে সাধারণের মাঝে আয়কর বার্তা পৌছানো, করনেট সম্প্রসারণ ও কর প্রদাণ কার্যক্রম সহজ হবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

(সংবাদটি জরুরী )
ঝিনাইদহে সেই গৃহবধূ রুমাকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার নাটক মিথ্যা, মুল রহস্য একাধিক পরকীয়া !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এলাকার রাউতাইল গ্রামে রুমা খাতুন নামে গৃহবধূকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে সত্য, কিšু‘ কাহিনী মিথ্যা, মুল রহস্য গৃহবধু রুমার একাধিক যুবকের সাথে পরকীয়া।

সরেজমিনে গৃহবধু রুমার স্বামীর বাড়ি ঝিনাইদহ সদরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এলাকার রাউতাইল গ্রামে গিয়ে, গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে, আনুমানিক ৮ বছর আগে সদর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রুমা খাতুনের বিয়ে হয় রাউতাইল গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে ফিরোজ হোসেনের সাথে।

সহজ সরল,ন্যাকা বোকা মানুষ ফিরোজ কৃষিকাজ করে। এ রকম সহজ সরল মানুষ পেয়ে হাতছাড়া করেননি গৃহবধু রুমা। বিয়ের পরপরই গৃহবধুর সাইনবোর্ড গায়ে লাগিয়ে শহুরে রুমা একাধিক বন্ধুদের সাথে রাত-দিন যাপন করতে থাকে।

ফিরোজ হোসেনের প্রথম স্ত্রী নাজমা খাতুন নি:সন্তান হওয়ার কারনে ফিরোজের পরিবার দেখে শুনে রুমার সাথে বিয়ে দেই। ৭/৮ বছরের দাম্পত্য জিবনে রুমার দুইটি মেয়ে হয়েছে ঠিকই, কিন্তুু সংসারে সর্বদা আগুন জ্বলতে থাকে।

কৃষকের ঘরে বিয়ে হওয়াতে রুমা দিনদিন উগ্রহয়ে উঠতে থাকে। সে তার মেজবোন রিনার সহযোগিতায় বিভিন্ন যুবকের সাথে পরকীয়া চালিয়ে আসছে। এমনকি মেজবোন রিনার বাড়িতে প্রতি মাসে ৩/৪ দিন পরকিয়ার পার্টিও চলে। আবার পরকিয়া পার্টিতে টাকা পয়সার লেনদেনও চলে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আবার আনুমানিক ১ বছর পূর্বে ঝিনাইদহ সদরের জামতলা বানিয়াকান্দর এলাকায় দুই প্রেমিক সহ রুমা টাইটফিট জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি পরে মটর সাইকেল যোগে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে গরুর সাথে মটর বাইকের ধাক্কা লেগে গরুটি মারা গেলে রুমার দুই প্রেমিককে পনের হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রেজাউল করিমের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও জো¯œা খাতুন।

অপরদিকে, প্রায়ই রুমা তার বড় মেয়ে অহনাকে মারধোর করে শ্বশুর বাড়ির পরিবারের তোয়াক্কা না করে বন্ধুদের সাথে মার্কেট, পার্ক সহ বিভিন্ন স্থানে রাত কাটায় বলে জানিয়েছেন অহনা।

এ ব্যাপারে রুমার শ্বশুরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, লোক লজ্জার ভয়ে আমরা রুমাকে কিছুই বলতে পারিনা। বললে রুমা তার মস্তান বন্ধুদের নিয়ে আমার বাসায় উগ্রমেজাজে গালি গালাজ করতে থাকে। পুর্বে বেশ কয়েকবার রুমা তার মস্তান বন্ধুদের নিয়ে আমার বাসায় এসে ফিরোজকে মারধোর করে অনেক হুমকি ধামকি দিয়েছে। এজন্যে আমরা মানসম্মানের ভয়ে পরিবারের সবাইই রুমার সবকিছু মেনে নিয়েছি।

গ্রামবাসী রুমা ও আমাদের নিয়ে সমালোচনা করতে থাকে। আবার তালাক দিলে দুটি কণ্যা সন্তানকে কে দেখবে। অবশ্য দুটি সন্তান জন্মের পরথেকেই ফিরোজের প্রথম স্ত্রী নাজমা খাতুনের তত্বাবধনে মানুষ হয়েছে।

রাউতাইল গ্রামের তৈয়ব হোসেনের স্ত্রী চায়না খাতুন, সুমন আহাম্মেদের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মসলেম উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, মিজানুর রহমানের স্ত্রী আমেনা খাতুন, কহিনুর খাতুনের স্বামী রেজাউল ইসলাম, রবিউল ইসলাম পিতা অহেদ আলী মন্ডল, রিজাউল ইসলাম পিতা অমেদ আলী ও ঝিনাইদহে ওজোপাডিকো কর্মচারী পাড়া প্রতিবেশি সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, রুমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি স্বামী ফিরোজ সহজ সরল ভিতু মাটির মানুষ। তারা কখনোই রুমার সাথে ঝগড়া ফ্যাসাদ মারধোর করে না। এই সহজ সরল অবস্থার সুযোগ নিয়ে রুমা শহরের মাস্তান প্রকৃতির একাধিক যুবকের সাথে পরকীয়া করে বেড়ায়।

এক কথায় ফিরোজের সাথে বিয়ের পুর্ব থেকেই রুমার চরিত্র খারাপ, পরকীয়া করায় তার নেশা। বিয়ের পরবর্তিতেও তার সেই নেশা বিদ্যমান।

এদিকে ঘটনার দিন রুমার এক প্রেমিক ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারের জামাল হোসেনের ছেলে সোয়েব পারভেজ সোনামিয়া ঝিনাইদহের নগরবাথান বাজারের ফিরোজ কসমেটিক্সে চাকরীরত অবস্থায় রুমাকে ট্যাব ও এনড্রুয়েড মোবাইল ফোন কিনে দেয়।

সংসারের কাজকর্ম বন্ধ করে রুমা অধিকাংশ সময় তার নিজের ঘরের দরজা বন্ধকরে বড় মেয়ে অহনাকে (৭) বাহিরে বেরকরে দিয়ে সে ঘন্টার পর ঘন্টা সোনা মিয়া সহ বিভিন্ন ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলে, বলে সাংবাদিককে জানিয়েছেন রুমার বড় মেয়ে অহনা।

পরে মঙ্গলবার সকালে রুমা সংসারের কাজ কর্ম ফেলে রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা সোনা মিয়া সহ বিভিন্ন ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলে। এ সময় ফিরোজ রুমার ট্যাব ও এনড্রুয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে আটকে রাখে।

পরে রুমা ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট মেয়েকে নিয়ে মেজবোন রিনার বাড়িতে গিয়ে মাথায় কেরোসিন তেল ঢেলে জামা কাপড় ছিড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা নামক নাটক তৈরি করে। যা পরে রুমার বোন সাংবাদিকদের ডেকে এনে তাদের সামনে উপস্থাপনা করে। এ বিষয়ে রুমার সাথে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগে করা যায়নি।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ থানা পুলিশ মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন, গৃহবধূ রুমার স্বামী ফিরোজ হোসেন, সতীন নাজমা খাতুন, শাশুড়ি মনোয়ারা খাতুন ও এক প্রতিবেশী নারী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার সাংবাদিককে জানান, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানান।

ঝিনাইদহের এক প্রধান শিক্ষক ম্যাডাম নিয়ে পলায়ন!
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের জমিলা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কোহিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ মাহবুবুর রহমান এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন পরকীয়া প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার পর গত মঙ্গলবার তিনি বিয়ে করে নিরুদ্দেশ হয়েছেন বলে অভিযোগ।

এ নিয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান নিজে বিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক মাহবুব পার্শ্ববর্তী গ্রীনলীফ স্কুলের ম্যাডাম লুবনা’র সাথে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বলে জানা গেছে।

জমিলা খাতুন স্কুলের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষকের প্রথম পক্ষের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বড় মেয়ে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ছেন। ছোট মেয়ে একই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। বিয়ের খবর শুনে বড় ছেলে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন এবং বাবার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এদিকে শহরের একটি স্বনামধন্য বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় বিয়ের খবর ফাঁস হয়ে পড়লে মুখরোচক আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে নিজের মেয়ের বয়সী মেয়েকে বিয়ে করায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইতিপুর্বে প্রধান শিক্ষক মাহবুবের পরকিয়া নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য জানতে তাকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

ঝিনাইদহে হিন্দু মেয়ে নিয়ে নিরুদ্দেশ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামে শান্তনি রানী নামে এক হিন্দু মেয়েকে ভালবেসে নিরুদ্দেশ হয়েছে মুসলমান ছেলে আক্তার হোসেন। এ নিয়ে গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর তারা নিরুদ্দেশ হয় বলে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা সফিউল ইসলাম জানান।

গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, বংকিরা গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে প্রান কোম্পানীতে চাকরীরত আক্তার হোসেনের সাথে একই গ্রামের ফকির চন্দ্র ঘোষের মেয়ে শান্তনি রানীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

দীর্ঘদিন ধরে তারে মধ্যে প্রেমের বিষয়টি উভয় পরিবার জানতো। গত ৩১ অক্টোবর আক্তার হোসেন শান্তনিকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। এ নিয়ে বংকিরা গ্রামের ওই হিন্দু পরিবারটি বিপাকে পড়েছেন। আক্তার হোসেনের ভগ্নিপতি পুলিশের এসআই হওয়ায় হিন্দু পরিবারটি খেয় হারিয়ে ফেলেছেন। যে করণে মেয়ের বাবা ফকির চন্দ্র ঘোষ কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারছেন না।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, আক্তার হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই ওই হিন্দু পরিবারকে হুমকী দিয়ে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা সফিউল ইসলাম জানান, তিনি খবর পেয়ে আক্তার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হিন্দু মিয়েটিকে ফেরৎ দেবার জন্য বলে এসেছেন। কিন্তু এতে কোন কাজ হয়নি।

ঝিনাইদহে শালিসের রায় না মানায় প্রতিবন্ধীর বাড়ীতে মাতব্বরদের হামলা, বাড়ীঘর ভাংচুর

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের মান্দারতলা গ্রামে শালিসের রায় না মানায় এক প্রতিবন্ধীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করেছে মাতব্বররা। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলামের বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে স্থানীয় সাইফুল ইসলাম একটি নিম গাছ জোরপুর্বক কেটে নেয়।এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম ও তার ভাই দুর্লভ ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

মাতব্বরদের আশ্বাসে থানায় মিমাংসাপত্র জমা দিলে মঙ্গলবার রাতে মাতব্বররা সাইফুল ইসলামকে নামমাত্র জরিমানা করে। প্রতিবন্ধীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করে ।
অভিযোগ পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এ এস আই অশোক কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
শৈলকুপায় গাছের সাথে শত্রুতা !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের শেখরা গোপালপুর গ্রামে দুই কৃষকের এক বিঘা জমির শতাধিক মেহগনি গাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গত ৩ দিন যাবত রাতে আধাঁরে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রশিদ বিশ্বাস ও সব্দুল বিশ্বাস জানান, আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে পার্শবর্তী সাপখোলা গ্রামে সম্প্রতি একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এরই জেরে গত কয়েক রাত ধরে ওই গ্রামের প্রতিপক্ষরা প্রতি রাতে তাদের জমির মেহগনি গাছ কেটে দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই জামিরুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার খবর শুনে ওই গ্রামে গিয়ে বিষয়টি দেখেছি। এর সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুতই আটক করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *