রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ এক সময়ের কৃতি ফুটবলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোতাহার আলীর (মোতাহার ওস্তাদ) বাড়ী ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বাড়ীর দরজা-জানালা-প্রাচীর এবং টিনের ছাদ ভেঙ্গে লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। নুরুল হক গং তার বাহিনী নিয়ে এ হামলা ও ভাংচুর পরিচালনা করে বলে মরহুম মোতাহার আলীর স্ত্রী রওশন আরা অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, এতো কিছুর পরেও কোন এক অদৃশ্য কারনে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা মামলা গ্রহণ করে না। ইতিপূর্বে গত ১৮ এপ্রিল একই ধরণের ঘটনা ঘটে। কোতয়ালী থানা তখনও মামলা নেয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের পাহাড়পুরস্থ মোতাহার ওস্তাদের বাড়ীর পাশেই নুরুল হকের বাড়ী। নুরুল হক গং দীর্ঘদিন থেকে মোতাহার ওস্তাদের স্ত্রী রওশন আরার সহিত গায়ে পড়ে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। বিশেষ করে বাড়ীর সীমানা প্রাচির নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে।
২ নভেম্বর বুধবার বিকেলে নুরুল হক গং তার বাহিনী নিয়ে রওশন আরার বাড়ীতে হামলা চালায়। তারা কারো কোন কথা বা বাধা মানেনি। মুহুর্তেই বাড়ীর দরজা-জানালা ও সীমানা প্রাচির গুড়িয়ে দেয়। পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ আসে। কিন্তু তারা নিরব দর্শকের মতো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়। নুরুল হক ও তার পুত্ররা পুলিশের সামনেই বাড়ী ভাংচুর ও তান্ডব পরিচালনা করে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্তও করেনি। রওশন আরা ও তার স্বজনেরা পুলিশের কাছে কাকুতি মিনতি করে সাহায্য চাইলেও পুলিশ নেহায়েত মুখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশের এমন আচরণে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। এলাকাবাসীর দাবী- আজ মোতাহার ওস্তাদ বেঁচে থাকলে কিংবা তার কোন পুত্র সন্তান থাকলে নুরুল হক গং এ ধরণের অন্যায় আচরণ করার ধৃষ্ঠতা দেখাতে পারতো না।
অসহায় রওশন আরা এখন বিচারের আশায় বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি বলছেন, বর্তমান স্বাধীনতার স্বপক্ষে সরকারের শাসনামলে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এভাবে লাঞ্ছিত হবে কোনদিন কল্পনা করিনি। যারা দেশের জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করলো, আজ দেশের পুলিশ বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা তাদেরকে সহযোগিতা করবে না এটি ভাবা যায় না। তিনি নুরুল হক গংয়ের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোর দাবী জানান