ঢাকা; ‘ঢাকায় সেটেল্ড, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এমবিএ অধ্যয়নরত ৫’-২” সুন্দরী কন্যার জন্য ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত, সুদর্শন চাকরিজীবী পাত্র চাই।’ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে এ বিজ্ঞাপন। পাত্র-পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপনের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। এ ধরনের বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ভাষার সমালোচনাও হয়েছে প্রচুর। তবে ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, বিজ্ঞাপনের ভাষায় এসেছে চমক জাগানিয়া পরিবর্তন। সুন্দরী পাত্রী চেয়ে যেমন বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হচ্ছে তেমনটি সুদর্শন পাত্র চেয়েও বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন অনেকে। এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেশ কিছু বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় পরিবর্তনের এ চিত্র। একটি বিজ্ঞাপনে যেমনটা বলা হয়েছে- অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন ঢাকাস্থ সুপরিবারের ও/এ লেভেল স্কলারশিপে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডিকৃত উচ্চ পদে কর্মরত ৫ ইঞ্চি ৮ ফুট বয়স ২৯ সুদর্শনের পাত্রী চাই। আরেকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- পাত্রী চাই-ঢাকাস্থ উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের এমবিবিএস (গভ. মে. ক.) এফসিপিএস (মেডিসিন) এমডি (ইনডোক্রিনোলজি) বিসিএস সুদর্শন পাত্রের। অন্য একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, লেকচারার, রিনাউন ইউনিভার্সিটি, বিবিএ, এমবিএ ঢাকায় সেটেল্ড, বাবা-মা প্রফেসর (২৭ বছর বয়স ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি) সুন্দরীর উপযুক্ত পাত্র। অন্য একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সপরিবারে কানাডার সিটিজেন, বিএসসি টরন্টো ইউনিভার্সিটি কানাডা, মাল্টিন্যাশনালে কর্মরত (২৪ বছর বয়স ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি) সুন্দরী নামাজি পাত্রীর পাত্র। অন্য একটি একটি বিজ্ঞাপনের ভাষা- সুপ্রিতিষ্ঠিত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। অভিজাত এলাকায় বসবাসরত (৫’-৭” -৩৯) বিএসসি পাস (শর্ট ডিভোর্স) অভিভাবক নেই, ঝামেলামুক্ত, বিনয়ী, ভদ্র পাত্রের জন্য সাংসারিক, ধার্মিক, সুন্দরী জরুরি পাত্রী চাই। আরেকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিল্পপতি পরিবারের ফার্মেসি স্কয়ারে উচ্চ বেতনে কর্মরত (৫’-১০” -৩০) সুদর্শন পাত্রের জন্য শর্ট ডিভোর্সি সুন্দরী পাত্রী চাই। অন্য একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে সেটেল্ড, দেশে-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (৩০- ৫’-৬”) পাত্রের সুশ্রী, ধার্মিক, সংসারিমনা পাত্রী চাই। আরেকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে কর্মরত, আইটিতে
মাস্টার্স (৩১-৫’-৫” ) লম্বা সুন্দরী পাত্রীর জন্য লম্বা, সুদর্শন, শিক্ষিত ও ইংরেজিতে কথা বলতে পারদর্শী পাত্র চাই (জরুরি)। অন্য বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তার একমাত্র কন্যা, এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষ (২১+৫’-৩” ) পাত্রীর জন্য বিসিএস (স্বাস্থ্য), ইন্টার্নি, ধার্মিক ও সুদর্শন পাত্র চাই।
সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, আগে পত্রিকায় সুন্দরী পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন বেশি প্রচার হতো। পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হলেও এখনো অনেক কিছু নেতিবাচক রয়ে গেছে। নারীদের সৌন্দর্যের যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয় তা বহুলাংশেই আপত্তিকর। এ প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম মানবজমিনকে বলেন, পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী বিজ্ঞাপনের কিছুক্ষেত্রে পরিবর্তন, বিবর্তন এসেছে। একটা সময়ে সুন্দরী পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্রীর খোঁজ করা হতো। এমনকি দীর্ঘাঙ্গী, ফর্সা ইত্যাদি দৈহিক বর্ণনা সমেত বিজ্ঞাপনও প্রচার হতো। এটা নারীকে অনেকটা পণ্য হিসেবে বেচাকেনার মতো। এখন এ অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। এখন সুদর্শন, যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রতিষ্ঠিত পাত্র চাই নামেও বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানের বিশ্বায়নের যুগে নারীদের মানসিক কাঠামোর পরিবর্তন হচ্ছে। নারীরা এখন বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আর নারী যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তাদের মধ্যে সচেতনতা ভাব চলে আসে। বিয়ের ক্ষেত্রেও নানা শর্তের বিষয়টি চলে আসে। যার ফলে নারীরাও এখন সুদর্শন, যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্র খোঁজেন। অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, আগে পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে পড়াশোনার বিষয়টি উল্লেখ করা হতো না। কে কি ধরনের যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ চায় এটিও তেমন উল্লেখ থাকতো না। এখন তাও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য চাহিদা আগের মতোই রয়ে গেছে।
সমাজ বিশ্লেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস মানবজমিনকে বলেন, পাত্র বা পাত্রী কাকে বিয়ে করবে, তার যোগ্যতা কেমন হবে, সেকি সুন্দরী হবে? সে কি ফর্সা, সুন্দর, সুদর্শন হবে, একজন পাত্রী কি বেকারকে বিয়ে করবে, বেকার কি বিয়ে করে বিদেশে যেতে পারবে-নিজের এমনসব সুবিধা বিষয় বিচেনায় নিয়েই পাত্র ও পাত্রী পক্ষ বিজ্ঞাপন দেন। যে কারণে পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনের ভাষাতে পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য এসেছে। রোবায়েত ফেরদৌস মনে করেন, সুন্দরী, ফর্সা, সুন্দর, সুদর্শন- এসব চিন্তা ভাবনা আসছে বর্ণবাদ, ভোগবাদ, পুঁজিবাদী ও কর্পোরেট চিন্তাভাবনা থেকে। এসবের শুরু সেই ঔপনিবেশিক শাসনামল থেকেই। তিনি বলেন, আমাদের মানসিকতা হচ্ছে- সাদা, ফর্সা, সুন্দর হলো ক্ষমতার প্রতীক। সাদারা সুন্দর। তারা পৃথিবী শাসন করছে। তাই আমিও সাদা চাই। এখন কালোরা যদি পৃথিবী শাসন করতো তাহলে বিষয়টা ঠিক তার বিপরীত হতো। মোট কথা আমরা সেই ঔপনিবেশিক ও ভোগবাদী চিন্তা ভাবনা থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারিনি। যার প্রভাব পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনেও রয়ে গেছে। রোবায়েত ফেরদৌস আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন অনেক তথ্যই লুকানো যেত। কিন্তু অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে এখন আর কোনো তথ্যই লুকানো যায় না। যে কারণে উভয়পক্ষ আগে থেকেই নিজেদের চাহিদা ও যোগ্যতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেশ কিছু বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় পরিবর্তনের এ চিত্র। একটি বিজ্ঞাপনে যেমনটা বলা হয়েছে- অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন ঢাকাস্থ সুপরিবারের ও/এ লেভেল স্কলারশিপে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডিকৃত উচ্চ পদে কর্মরত ৫ ইঞ্চি ৮ ফুট বয়স ২৯ সুদর্শনের পাত্রী চাই। আরেকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- পাত্রী চাই-ঢাকাস্থ উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের এমবিবিএস (গভ. মে. ক.) এফসিপিএস (মেডিসিন) এমডি (ইনডোক্রিনোলজি) বিসিএস সুদর্শন পাত্রের। অন্য একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, লেকচারার, রিনাউন ইউনিভার্সিটি, বিবিএ, এমবিএ ঢাকায় সেটেল্ড, বাবা-মা প্রফেসর (২৭ বছর বয়স ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি) সুন্দরীর উপযুক্ত পাত্র। অন্য একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সপরিবারে কানাডার সিটিজেন, বিএসসি টরন্টো ইউনিভার্সিটি কানাডা, মাল্টিন্যাশনালে কর্মরত (২৪ বছর বয়স ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি) সুন্দরী নামাজি পাত্রীর পাত্র। অন্য একটি একটি বিজ্ঞাপনের ভাষা- সুপ্রিতিষ্ঠিত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। অভিজাত এলাকায় বসবাসরত (৫’-৭” -৩৯) বিএসসি পাস (শর্ট ডিভোর্স) অভিভাবক নেই, ঝামেলামুক্ত, বিনয়ী, ভদ্র পাত্রের জন্য সাংসারিক, ধার্মিক, সুন্দরী জরুরি পাত্রী চাই। আরেকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিল্পপতি পরিবারের ফার্মেসি স্কয়ারে উচ্চ বেতনে কর্মরত (৫’-১০” -৩০) সুদর্শন পাত্রের জন্য শর্ট ডিভোর্সি সুন্দরী পাত্রী চাই। অন্য একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে সেটেল্ড, দেশে-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (৩০- ৫’-৬”) পাত্রের সুশ্রী, ধার্মিক, সংসারিমনা পাত্রী চাই। আরেকটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে কর্মরত, আইটিতে
মাস্টার্স (৩১-৫’-৫” ) লম্বা সুন্দরী পাত্রীর জন্য লম্বা, সুদর্শন, শিক্ষিত ও ইংরেজিতে কথা বলতে পারদর্শী পাত্র চাই (জরুরি)। অন্য বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তার একমাত্র কন্যা, এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষ (২১+৫’-৩” ) পাত্রীর জন্য বিসিএস (স্বাস্থ্য), ইন্টার্নি, ধার্মিক ও সুদর্শন পাত্র চাই।
সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, আগে পত্রিকায় সুন্দরী পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন বেশি প্রচার হতো। পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হলেও এখনো অনেক কিছু নেতিবাচক রয়ে গেছে। নারীদের সৌন্দর্যের যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয় তা বহুলাংশেই আপত্তিকর। এ প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম মানবজমিনকে বলেন, পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী বিজ্ঞাপনের কিছুক্ষেত্রে পরিবর্তন, বিবর্তন এসেছে। একটা সময়ে সুন্দরী পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্রীর খোঁজ করা হতো। এমনকি দীর্ঘাঙ্গী, ফর্সা ইত্যাদি দৈহিক বর্ণনা সমেত বিজ্ঞাপনও প্রচার হতো। এটা নারীকে অনেকটা পণ্য হিসেবে বেচাকেনার মতো। এখন এ অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। এখন সুদর্শন, যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রতিষ্ঠিত পাত্র চাই নামেও বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানের বিশ্বায়নের যুগে নারীদের মানসিক কাঠামোর পরিবর্তন হচ্ছে। নারীরা এখন বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আর নারী যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তাদের মধ্যে সচেতনতা ভাব চলে আসে। বিয়ের ক্ষেত্রেও নানা শর্তের বিষয়টি চলে আসে। যার ফলে নারীরাও এখন সুদর্শন, যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্র খোঁজেন। অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, আগে পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে পড়াশোনার বিষয়টি উল্লেখ করা হতো না। কে কি ধরনের যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ চায় এটিও তেমন উল্লেখ থাকতো না। এখন তাও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য চাহিদা আগের মতোই রয়ে গেছে।
সমাজ বিশ্লেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস মানবজমিনকে বলেন, পাত্র বা পাত্রী কাকে বিয়ে করবে, তার যোগ্যতা কেমন হবে, সেকি সুন্দরী হবে? সে কি ফর্সা, সুন্দর, সুদর্শন হবে, একজন পাত্রী কি বেকারকে বিয়ে করবে, বেকার কি বিয়ে করে বিদেশে যেতে পারবে-নিজের এমনসব সুবিধা বিষয় বিচেনায় নিয়েই পাত্র ও পাত্রী পক্ষ বিজ্ঞাপন দেন। যে কারণে পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনের ভাষাতে পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য এসেছে। রোবায়েত ফেরদৌস মনে করেন, সুন্দরী, ফর্সা, সুন্দর, সুদর্শন- এসব চিন্তা ভাবনা আসছে বর্ণবাদ, ভোগবাদ, পুঁজিবাদী ও কর্পোরেট চিন্তাভাবনা থেকে। এসবের শুরু সেই ঔপনিবেশিক শাসনামল থেকেই। তিনি বলেন, আমাদের মানসিকতা হচ্ছে- সাদা, ফর্সা, সুন্দর হলো ক্ষমতার প্রতীক। সাদারা সুন্দর। তারা পৃথিবী শাসন করছে। তাই আমিও সাদা চাই। এখন কালোরা যদি পৃথিবী শাসন করতো তাহলে বিষয়টা ঠিক তার বিপরীত হতো। মোট কথা আমরা সেই ঔপনিবেশিক ও ভোগবাদী চিন্তা ভাবনা থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারিনি। যার প্রভাব পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনেও রয়ে গেছে। রোবায়েত ফেরদৌস আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন অনেক তথ্যই লুকানো যেত। কিন্তু অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে এখন আর কোনো তথ্যই লুকানো যায় না। যে কারণে উভয়পক্ষ আগে থেকেই নিজেদের চাহিদা ও যোগ্যতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।