আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কঠোর নিরাপত্তায় নারী ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে স্থগিত হওয়া দু’টি কেন্দ্রে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে গতকাল সোমবার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট, পর্যাপ্ত পুলিশ-র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করে নির্বাচন কমিশন। বাকাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আগৈলঝাড়া ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩০৯২ জন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২১শ’ ব্যালট বুথে ছাড়া হয়েছে। এ কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী তারিক সালমন ভোটগ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থান করছিলেন। তার সাথে ছিলেন রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার উদ্দিন। ওই কেন্দ্রে সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী হাফিজা ইয়াসমিনের এজেন্ট তার দেবর বুলু পাইক বুথে বসে একাধিকবার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলার কারণে তার মোবাইল ফোন বিনষ্ট করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ওই কেন্দ্রে ভোটার না হয়েও ভোট দিতে কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে যাওয়ায় ৩ জনকে পিটিয়েছে পুলিশ।
বাগধা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড প্রত্যন্ত এলাকা আমবৌলা কেরামতিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ২৯২১ জন। তিনি জানান, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২০২৮টি ব্যালট বুথে ছাড়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শতরূপা তালুকদার ভোটগ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। তার সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. সেলিম রেজা। ওই কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থী মেহেদী হাসান মিথুনের এজেন্ট ছিলেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সস্পাদক ইউনুস আলী মিয়া। বুথে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করলেও তা না শোনায় তার মোবাইলটি জব্দ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উল্লেখ্য, গত ২২মার্চ প্রথম ধাপের নির্বাচনে উল্লে¬খিত দু’টি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার জন্য নির্বাচন স্থগিত করা হয়। চেয়ারম্যান ব্যাতীত শুধুমাত্র সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল।