আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘২৮ হাজার ৭৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ৩৮ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৪৫ জন ছাত্র এবং ১০ লাখ ৭৫ হাজার ২২৮ জন ছাত্রী। তিনি আরো বলেন, এ বছর জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৫ হাজার ২২৮ ছাত্র এবং ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৪ জন ছাত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ৮টি বিদেশী কেন্দ্রের মাধ্যমে জেএসসি পরীক্ষায় মোট ৬৮১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।
গত বছরের ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ পরীক্ষার্থীর বিপরীতে এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজার ৮৪২ জন।
নাহিদ বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে এবং শেষ হবে ১৭ নভেম্বর। আর ফল প্রকাশিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এসব পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাসের ইতিবাচক লক্ষণ প্রতীয়মান হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রাথমিক পরীক্ষা এবং জেএসডি ও জেডিসি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের ঝড়েপড়ার হার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০২ শিক্ষার্থী, ২০১১ সালে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ জন, ২০১২ সালে ১৯ লাখ ৮ হাজার ৩৬৫ জন, ২০১৩ সালে ১৯ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ জন, ২০১৪ সালে ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন এবং ২০১৫ সালে ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার মান বাড়াতে আমরা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছি।’
সূত্র : বাসস