গুরুতর আহত অবস্থায় তায়ফুল হককে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক টিপু সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, তায়ফুল হকের মাথার পেছনে তিনটি, কপালের দিকে একটি, ঊরুতে একটি ও পেটে কোপের গভীর দাগ রয়েছে। তাঁর জখম গুরুতর। এ জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে আবদুর রব হলের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন তায়ফুল হক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মিজানুর রহমান। এ সময় ৮-১০ জন মুখোশধারী ব্যক্তি এসে তায়ফুল হককে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। তারা মিজানুর রহমানকেও মারধর করে। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর আশপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা এসে দুজনকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের দুই নেতাকে দায়ী করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু। তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে দিয়াজ ইরফান (কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক) ও মো. মামুনের (বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি) নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সহসভাপতির ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনার কঠোর শাস্তি চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে মো. মামুন বলেন, ‘এ ঘটনার আমি কিছুই জানি না। দিয়াজ ইরফান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।’