হায় এথেন্স নগরী! হায় সক্রেটিস!!★ডা.মাজহারুল আলম

Slider বাধ ভাঙ্গা মত

 

image-5

“History repeats itself. Nobody takes lesson from history, it is the lesson of history. No matter, but since thousands of years, history has been travelling with its all tragedies or comedies– leaving  the past, enjoying the present and welcoming the future through the black alphabets bounded at the pages of books grilled in shelves, libraries of our planet.” This is at a glance about one of the wise men of the old, ‘Socrates’ :—

 

কি আশ্চর্য! প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের ঘটনা! আজো পৃথিবীর আমরা সবাই জানি। গুরু সক্রেটিসকে ভয়ানক হেমলক বিষের এক পেয়ালা নীল তরল পান করে মরতে হয়েছিল।তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কোমল মতি তরুণ সমাজকে বিপথে নিয়েছেন। প্ররোচনা দিয়েছেন যুব সমাজকে।

তাই ক্ষিপ্ত হয়েছেন এথেন্সের রাজা। নিয়তির নির্মম পরিহাসে পাঁচ’শ বিচারকের জুড়িতে প্রমাণিত হয়ে গেলো মহামতি সক্রেটিস এর অপরাধ। তাঁর মাথায় নামলো রাজদণ্ডের খরগ।

বিষপানের পূর্বক্ষণে শিষ্য পরিবেষ্টিত মহামতির মুখে উচ্চারিত হলো সেই কালজয়ী শব্দ নির্ঝরঃ

” I to die,you to live—which is better only  God knows”.

সংক্ষেপণের তাগিদেই ক্ষুদ্র কলেবরে বলছি —

“মহাকালের অতলে গত হয়েছে আড়াই হাজার বছর, মহাশক্তিধর এথেন্স রাজ এর নাম আজ বিস্মৃত হয়েছে নির্দয় ইতিহাসের পাতা থেকে, অভিশপ্ত অবলুপ্তির কলংকে সেদিনের আঞ্জাবহ বিচারপতিরা নেই কোন দৃশ্যমান পংতিমালার কালো অক্ষর শৃংখলিত বিশেষ্যপদে।

কিন্তু সহস্র কোলাহলে শতাব্দীগুচ্ছের রং ছড়ানো আলোক বিচ্ছুরণে আমাদের গ্রহের সভ্যতার অগ্রভাগে প্রবাহিত যে ঞ্জানের তরংগ, তার গভীরে কালোত্তীর্ণ হয়ে প্রোথিত রয়েছে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সেদিনের কয়েদী মহামতি সক্রেটিস এর নাম।

 

গ্রিক সভ্যতার পতনের অনাকাঙ্ক্ষিত কারন নিহিত ছিল সেদিনের আদালতপতিদের অনুগ্রহের কাতারে সামিল হয়ে ন্যায় নীতি বিসর্জন দেয়া এবং ঞ্জান গরিমার উজ্জ্বল প্রদীপকে রাজ সিংহাসনের প্রমত্ত ইশারায় নির্বাপিত করা।

 

ইতিহাসের অনুচ্চারিত ব্যঞ্জনার গতিপথে এইতো সেদিন গ্রিস দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বয়ংক্রিয় নির্দেশে “সক্রেটিস এর মৃত্যুদণ্ড”কে অবৈধ  ঘোষনা করলো।।

কিন্তু মাঝখানে কত সমুদ্র হারিয়ে গেল বিরান মরুভূমিতে, কত হিমালয় বিলীন হল অতল সিন্ধুতে, কত মিসিসিপি, দজলা,ফোরাত, ইরাবতী,হুয়াংহু,নীলনদ, কত ব্রম্মপুত্রের স্র্রোতে এল পরিবর্তন, কত শহর,বন্দর, কত দুর্গ, প্রাসাদ, কত গগনচুম্বী অট্টালিকা হারালো তার গৌরব—মাঝখানে কাটলো আড়াই হাজার বছর।

★আজো আমাদেরই দেশে নিরবে নিভৃতে কাঁদে বিচারের বাণী। রাজদন্ডের কৃপাকাতর ভারে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই ভূখন্ডে আজো তিলে তিলে সিক্ত ন্যায়দন্ড।

হায়,এথেন্স নগরী!

হায়,সক্রেটিস!!

হায়, বাংলাদেশ!!

(লেখকঃ-সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি,

             যুগ্ম সম্পাাদক, গাজীপুর জেলা বিএনপি।)

           

       

                       —–০—–

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *