ঢাকা; স্কয়ার হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট থেকে খাদিজা বেগমকে কেবিন নেওয়া হয়েছে। তবে বিকেল থেকে কম খাবার খাচ্ছেন। খাদিজা বেগমের বাবা মাশুক মিয়া আজ রাতে এ কথা বলেন।
মাশুক মিয়া বলেন, অন্যান্য দিন কথা বললেও আজকে খাদিজা কথা বলছে না। বিকেলে কোনো কিছু খায়নি। তবে খাবার কম খেলেও আগের মতোই তাকাচ্ছে খাদিজা। জোহরের নামাজের পর চিকিৎসকেরা খাদিজাকে দেখে গেছেন। ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।
অচেতন খাদিজা বেগম ২৫ অক্টোবর মাশুক মিয়াকে ‘আব্বু’ বলে ডাক দেন। সে সময় খাদিজা তাঁর মাকেও চিনতে পারেন বলে জানান স্বজনেরা। সৌদিপ্রবাসী মাশুক মিয়া তাঁর একমাত্র মেয়ের ওপর হামলার খবর পেয়ে ৬ অক্টোবর দেশে ফেরেন। একই দিনে দেশে আসেন খাদিজার ভাই শাহীন আহমেদ। এখন খাদিজার পাশে আছেন তাঁর বাবা মাশুক মিয়া ও মা মনোয়ারা বেগম। বেশির ভাগ সময়ই মেয়েকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।
৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (ডিগ্রি) ছাত্রী খাদিজা বেগম পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বদরুল আলমের হামলার শিকার হন। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে গত রোববার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।