হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুরে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি হামলা ও হয়রানী থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বীর মুক্তিযোদ্ধাও।
এ হামলার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেটের ডিআইজি ও সিলেটের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলার পূর্ব লক্ষীপ্রাসাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধু ও প্রবাসী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তাহেরা আক্তার পারুল। বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, পূর্বশক্রতার জের ধরে একই গ্রামের ইসমাইল আলী নেকই ও তার পুত্র মামুন তাকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। গত ৬ অক্টোবর নেকইর নির্দেশে মামুন সহযোগীদের নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। খবর পেয়ে জৈন্তাপুর থানা পুলিশের এস.আই আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তিনি সুস্থ হওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর এ ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ ইসমাইল আলী নেকই কে গ্রেফতার করে। এদিকে, ২১ অক্টোবর নেকই কে গ্রেফতারের পর এদিন রাতেই মামুন ও তার লোকজন প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং লুটতরাজ করে। তাদের এ অরাজকতায় এলাকাবাসী হতভম্ব হয়ে পড়েন। অনেকেই তাদের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পান নি। দাঙ্গাবাজ এ চক্র এতেও ক্ষান্ত না হয়ে তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে। গত শনিবার প্রভাবশালী একজন জনপ্রতিনিধির নির্দেশে তার দেবর সেলিম রানাকে জৈন্তাপুর বাজার থেকে আটক করে নিয়ে যায় ও বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে তার শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা তেরা মিয়া ও ২ ননদ উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও আটকে রাখে এবং একপর্যায়ে জৈন্তাপুর থানায় সোপর্দ করে। পরবর্তীতে তারা থানা থেকে মুক্তি পান। বর্তমানে তাদের ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি, জৈন্তাপুর থানাতেও যেতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে সুবিচারের আশায় গত ২৫ অক্টোবর ৩০ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য জৈন্তাপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।