ঢাকা; আসন্ন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র আসার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষান্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এই সময়ের পর আর কাউকে কেন্দ্র ঢুকতে না দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া পেশাদার প্রশ্নফাঁসকারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকলমুক্ত রাখতে ফেসবুকসহ সকল গণযোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপর কড়া নজরদারি রাখা হবে। পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় আগে প্রশ্নপত্রের বান্ডিল খোলা হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যক্তি সেই সময়ের ভিতর তা বাহিরে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্ঠা চালায়। এ কারণে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত আসনে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস করতে না পারলেও ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন তিন লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করার কিছু পেশাদার লোক আছে, তারা দীর্ঘদিন থেকে এ কাজ চালিয়ে আসছে। কিছু লোক আছে যারা মাঝে মাঝে যুক্ত হয়, এরা দুই রকমের মুনাফা নিতে চায়। তবে কবে, কারা, কোন পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন এত টাকায় বিক্রি করেছে- সে তথ্য শিক্ষামন্ত্রী দেননি। মন্ত্রী বলেন, যারা পেশাদার, তাদের চিহ্নিত করতে বিজি প্রেসকে আমলে নিয়ে বিভিন্ন লিংক বের করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের আয়ত্বের মধ্যে নিয়ে আসে। দুই-একজন যারা আছেন, তারাও দৃষ্টির মধ্যে চলে এসেছে। এই প্রতারক চক্রের একটি উদ্দেশ্য হল প্রশ্ন ফাঁস করে কিছু ইনকাম করা। আবার সরকারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আসল প্রশ্ন যেহেতু বের করতে পারে না তাই নকল প্রশ্ন বের করছে। ভর্তি পরীক্ষার একটি চক্রকে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) ধরেছেন, যারা ভুল প্রশ্ন প্রচার করেছে। যারা ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে তাদের সবাইকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, এসব করে কেউ পার পাবে না, ধরা পড়তেই হবে।
কিছু শিক্ষকও প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ কেউ ধরাও পড়েছেন। কিছু শিক্ষক নজরদারির মধ্যে আছেন। কোচিং সেন্টারগুলোতেও নজরদারি করা হচ্ছে। আমরা খুবই দুঃখিত হই, যখন শুনি যে আমাদের শিক্ষকরাও এসব কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। এ কারণে পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক অংশ কমিয়ে দিয়েছি। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম খান, চৌধুরী মুফাদ আহমদ, মূদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেগম ভিকারুণ নেসা, সিটি পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চের সিনিয়র এসপি মো. মনিরুজ্জান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মশিউর রহমান, পুলিশ সুপার এ এফ এম আনজুমান কালাম, এডিশনাল এসপি আহমেদুল কবির, র্যাবের উপ-পরিচালক মেজর ইবনে মঞ্জুরুল কবির, বিটিআরসি’র সহকারি পরিচালক তৌফিক শাহরিয়ার, সকল বোর্ড চেয়ারম্যানরা। উল্লখ্যে, আগামী ১লা নভম্বের থকেে শুরু হওয়া জএেসসি পরীক্ষা চলবে ১৭ই নভম্বের র্পযন্ত। এবার দেশের দুই হাজার ৭৩৪টি কেন্দ্রে ২৪ লাখ ১০ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে।
কিছু শিক্ষকও প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ কেউ ধরাও পড়েছেন। কিছু শিক্ষক নজরদারির মধ্যে আছেন। কোচিং সেন্টারগুলোতেও নজরদারি করা হচ্ছে। আমরা খুবই দুঃখিত হই, যখন শুনি যে আমাদের শিক্ষকরাও এসব কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। এ কারণে পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক অংশ কমিয়ে দিয়েছি। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম খান, চৌধুরী মুফাদ আহমদ, মূদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেগম ভিকারুণ নেসা, সিটি পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চের সিনিয়র এসপি মো. মনিরুজ্জান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মশিউর রহমান, পুলিশ সুপার এ এফ এম আনজুমান কালাম, এডিশনাল এসপি আহমেদুল কবির, র্যাবের উপ-পরিচালক মেজর ইবনে মঞ্জুরুল কবির, বিটিআরসি’র সহকারি পরিচালক তৌফিক শাহরিয়ার, সকল বোর্ড চেয়ারম্যানরা। উল্লখ্যে, আগামী ১লা নভম্বের থকেে শুরু হওয়া জএেসসি পরীক্ষা চলবে ১৭ই নভম্বের র্পযন্ত। এবার দেশের দুই হাজার ৭৩৪টি কেন্দ্রে ২৪ লাখ ১০ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে।