এম এ কাহার বকুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার ভিতর থেকে হাতকড়াসহ মিলন মিয়া (২৫) নামে এক আসামীর পলায়ন।
আজ মঙ্গলবার (২৫অক্টোবর) সকালে থানার হাজত থেকে প্রসাব করার অজুহাতে প্রাচীর টগবিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায় আসামী মিলন। দায়িত্বের অবহেলার কারণ জানতে বিকেলে এ ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৪অক্টোবর) রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামে মিলনকে ১ টি ছাগল ও মোবাইল চুরির সময় আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন।
হাতকড়াসহ পলাতক আসামী দূর্ধর্ষ চোর মিলন মিয়া দিনাজপুরের ফুলহাট গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে। হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের ধুবনী এলাকার বাসিন্দা।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সুত্রে জানা যায়, বিয়ের সুবাদে হাতীবান্ধার ধুবনী এলাকায় বসবাস করত মিলন মিয়া। গতকাল সোমবার রাতে একটি ছাগল ও মোবাইল ফোন চুরি করার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে এবং পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ভোর ৬ টার দিকে থানার হাজত খানার ভিতরে থাকা আসামী মিলন টয়লেটে যেতে চায়। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টবল মোঃ মতিয়ার রহমান তাকে হাতকড়াসহ পাশে থাকা টয়লেটে নিয়ে যান। তবে টয়লেট থেকে ফেরার পথে মিলন ওই কনস্টবলকে ধাক্কা দিয়ে হাতকড়াসহ থানার দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
এসময় থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ সাইদুল ইসলাম হতবাক হয়ে পড়েন। আর মুহুর্তের মধ্যে থানা থেকে আসামী পালিয়ে যাওয়ার খবরটি পৌঁছে যায় ওসির বাসাসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। কিন্তু পলাতক মিলনকে ধরতে তাৎক্ষণিক ভাবে কোন অভিযান না চালায় এখন পর্যন্ত আসামী মিলনের কোন খোঁজ মিলাতে পারে নি হাতিবান্ধা থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৫অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মিলনকে ধরতে পুলিশ জোর চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার জনাব এস এম রশিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে দায়িত্ব অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে পলাতক আসামীকে ধরতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।