রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর জাতি আশান্বিত হওয়া দূরে থাক, দলটির নেতাদের বক্তব্যে একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনেরই প্রতিফলন পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপিকে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না, যে করেই হোক আওয়ামী লীগকে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে। আগামী নির্বাচনের পরিণতিটা যে কী ভয়াবহ রূপ নেবে, এ বক্তব্য তারই ইঙ্গিতবাহী। এ বক্তব্যে প্রমাণিত হয়, তারা আগামী নির্বাচন নিজেদের অধীনে অনুষ্ঠিত করে জবরদখলকারী ভূমিকাই পালন করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মানুষের প্রত্যাশা ছিল, কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত কমিটি হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও তাঁর নেত্রীর পথেই হাঁটছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছিল, তারা চোরাবালিতে হারিয়ে যাবে।
রিজভী বলেন, ৫ জানুয়ারির একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ মেনে নেয়নি। সারা বিশ্ব এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। আবারও দলীয় অনুগত সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে তাতে শেখ হাসিনারই অশুভ ইচ্ছা পূরণ হবে, কিন্তু গণতন্ত্র ও নির্বাচনের ঠিকানা হবে আজিমপুর গোরস্থান।
সবার মতামতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রিজভী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।