শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পুলিশ প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে গত ১০ আগস্ট হাইকোর্ট পুরো ঘটনা বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে ঢাকার সিএমএম শেখ হাফিজুর রহমান ঘটনাটি তদন্ত করছেন।
তদন্ত করে ঢাকার সিএমএমকে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৬ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের কঠোর সমালোচনা করেন মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তবে সেলিম ওসমান শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন।
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত ১৮ মে আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও মহসীন রশিদ। সেদিন আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। সাংসদ সেলিম ওসমানসহ ওই ঘটনায় যাঁদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।