গ্রাম বাংলা ডেস্ক: সরকারদলীয় এমপি আব্দুর রহমান বদিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার সকালে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি বদি।
শুনানি শেষে বেলা সোয়া ১১টার দিকে মহানগর হাকিম মোঃ মারুফ হোসেন জামিন নাকচ করে বদিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন বদি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ রবিবার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
এর আগে গত ২১ আগস্ট মহাজোট সরকারের সংসদ সদস্য বদিসহ প্রভাবশালী তিন মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। অপর দুজন হলেন- সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান।
এরমধ্যে বদির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সোবহান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সম্পদ বেড়েছে ৩৫১ গুণ। নামে-বেনামে তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।