গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের সম্ভাব্য গতিপথ। এটি আগামীকাল ভারতে আঘাত হানতে পারে
ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ অগ্রসর হচ্ছে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ হুদহুদ মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ৯৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশের চার সমুদ্র বন্দরে গতকাল রাত পর্যন্ত ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত বহাল রয়েছে।
ইউএস নেভির জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার (জেটিডব্লিউসি) বলেছেন, হুদহুদ স্থলভাবে আঘাত করার সময় এর গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ২১২ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপট্টম ও উড়িষ্যার গোপালপুরের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে স্থলে উঠতে পারে বলে ইউএস নেভির জেটিডব্লিউসি জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করছে না।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ সামান্য পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দণি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দণি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দেিণ এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দেিণ অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলা করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হয়েছে।