কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ও শ্রমিক খুন

Slider গ্রাম বাংলা

13854_map2

ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় গত বুধবার যৌতুক না পেয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মেমোরি কার্ড নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নিকলী উপজেলার উত্তর দামপাড়া ভূঁইয়াহাটি গ্রামের কাদির ভূঁইয়ার ছেলে দিদার ভূঁইয়ার স্ত্রী উমাকা বেগম (২৫) ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক মো. সোহাগ (৩৫)।

 

নিকলী থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিকলীর উত্তর দামপাড়া ভূঁইয়াহাটি গ্রামের কাদির ভূঁইয়ার ছেলে দিদার ভূঁইয়ার (২৮) সঙ্গে বদরপুর গ্রামের আহেদ আলীর মেয়ে উমাকা বেগমের চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দিদার যৌতুকের জন্য উমাকার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এ নিয়ে গত বুধবার রাতে স্বামীর সঙ্গে উমাকা ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন উমাকাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উমাকার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঈদ চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে উমাকার বাবা আহেদ আলী বাদী হয়ে নিকলী থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাস খানেক আগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মো. সোহাগের ব্যবহৃত একটি মেমোরি কার্ড নিয়ে যান পাশের বাড়ির প্রয়াত মোক্তার হোসেনের ছেলে মীর হোসেন (২৫)। কার্ডটি ফেরত চাওয়ায় কয়েক দিন আগে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে ১৫ অক্টোবর বিকেল পাঁচটায় বাড়ি ফেরার পথে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় সোহাগের মাথার পেছনে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন মীর হোসেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সোহাগের চাচা আবদুল খালেক মীর হোসেনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে মীর হোসেন পলাতক রয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *