নিহত দুজন হলেন সবুজ হোসেন (২৩) ও শাকিল হোসেন (২১)। তাঁদের মধ্যে সবুজের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় ও শাকিলের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার দশমীপাড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, একটি পাইপগান, চারটি গুলি ও দুটি হাঁসুয়া উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ কোম্পানি অধিনায়ক উপপরিচালক মেজর মনির আহমেদের ভাষ্য, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে র্যাবের গাড়ি দর্শনার শান্তিপাড়া এলাকায় যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি ছুড়তে শুরু করে। র্যাবও ১০-১২টি পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে বাইপাস সড়কের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় তাঁদের পরিচয় জানা যায়।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজীবকে গত ২৯ জুলাই দামুড়হুদার কৃষিমেলা থেকে অপহরণ করা হয়। পরে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। গত ৩১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় সজীবের গলিত লাশ। এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার দুই আসামিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁরা এখন জেলহাজতে। ‘প্রধান আসামি রকিবুল মেম্বার’ গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
দামুড়হুদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমানের ভাষ্য, নিহত ব্যক্তিদের পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরে দুটি করে গুলির আলামত পাওয়া গেছে।