ঢাকা; গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজির ১৮৩ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফজলুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাটিয়ামাড়ি (তালতলা) বাজারের পশ্চিমে মোকারম আলীর বাড়ী থেকে ১৫৯ ও শাহ আলমের বাড়ী থেকে ২৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। ফজলুপুর ইউনিয়নের ডিলার আজাহার আলী হতদরিদ্রদের মধ্যে কার্ড ও চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে চালগুলো মজুত করে। ডিলার আজাহার আলী ফজলুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হুকুম আলী জানান, ১০ টাকা কেজিতে চাল ক্রয় করতে ইউনিয়নে ১০৪৬ জন সুবিধাভোগীর নামে কার্ড বরাদ্দ হয়। এরমধ্যে ডিলার আজাহার আলীর কাছে ৫২৩ জন সুবিধাভোগী চাল ক্রয় করবে। আজাহার আলী খাদ্যগুদাম থেকে দ্বিতীয় কিস্তির (সেপ্টেম্বর) মাসের চাল উত্তোলন করে তালতলা বাজারে তার গোডাউনে রাখেন। কিন্তু আজাহার আলী সুবিধাভোগীর মধ্যে কার্ড ও চাল বিতরণ না করে রাতের আধারে চালগুলো তালতলা বাজারের অদূরে মোকারম আলী ও শাহ আলমের বাড়িতে রেখে দেন। এছাড়া চাল বিতরণ হয়েছে মর্মে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার নিকট মাষ্টাররোল জমা দেন। এরপর সোমবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে চালের বস্তা দেখে প্রশাসনকে খবর দেয়। ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন জালাল জানান, সারারাত চালের বস্তা পাহারা দিয়ে রাখেন স্থানীয় লোকজন। এরপর সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ এসে চাল উদ্ধার করে। চালের ডিলার আজাহার আলী এলাকার হতদরিদ্রদের মাঝে কার্ড বিতরণ করেননি। তিনি এসব কার্ড নিজের কাছে রেখে চাল বিতরণ দেখিয়েছেন। অথচ চাল বিতরণ না করে ডিলার আজাহার আলী চালগুলো আত্মসাতের চেষ্টায় অন্যর বাড়িতে রাখেন। ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল খালেক জানান, খবর পেয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আবদুল হালিম টলষ্টয়ের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ১৮৩ বস্তা চাল উদ্ধার করে। ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল হালিম টলষ্টয় জানান, উদ্ধার করা চালগুলো ইউপি সদস্য হুকুম আলীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুল হক বাদী হয়ে ফুলছড়ি থানায় অভিযুক্ত ডিলার আজাহার আলী সহযোগী মোজাম্মেল হক, আব্দুল হাই, মোতাল্লেব, মোকারম মির্জা ও আলম শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।