দিল্লির জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ‘খোলা চিঠি’ প্রকাশ করেন ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব পিপলস মুভমেন্টসহ বহু সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বাংলাদেশে যাঁরা এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন, তাঁদের অনেককেই জীবনের ভয় দেখানো হচ্ছে।
নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেতা মধুরেশ কুমার ও অল ইন্ডিয়া ফরেস্ট ওয়ার্কিং পিপলস নেতা অশোক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের নিয়ে দিল্লিতে যৌথভাবে রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা সমস্যায় তা করা সম্ভব হলো না। তাঁরা বলেন, তাঁরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে নন। তবে প্রস্তাবিত জায়গায় ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হয়েছেন। কারণ, সুন্দরবনের পরিবেশ এতে কলুষিত হবে। সুন্দরবনের ৪০ শতাংশ রয়েছে ভারতে। রামপালের প্রভাব থেকে তা মুক্ত থাকতে পারবে না।
মধুরেশ কুমার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সরকারি সংস্থাগুলো এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলোর মতো আচরণ করছে। এই প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের মানুষের মনে ভারতবিরোধী একটা মনোভাবের জন্ম হচ্ছে। সরকারবিরোধী ও মৌলবাদী শক্তি এর সুযোগ নিতে তৎপর।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের পরিবেশের স্বার্থে এই প্রকল্প থেকে ভারত সরে আসুক। আরও আরজি, এই প্রকল্পের বিরোধিতার দরুন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যেন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। এই খোলা চিঠিতে ভারতের বিভিন্ন পরিবেশরক্ষা আন্দোলনের কর্মী ও নেতারা সই করেছেন।