এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আখানগর ধনিপাড়ার এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ ইউপি সদস্যসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী বেলাল হোসেন এ মামলা করেন। আসামীরা হলেন- ইউপি সদস্য মনিরাম বর্মন (৩৫), ফজলুর রহমান (৫০), রফিকুল ইসলাম (৪১), মো. সাজু (২২), সাদেকুল (৪০), রেজাউল (৫০), জনি (২০), জাহাঙ্গির (৩০), চারুক (৩৫) ও আব্বাস (২৮)। সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধনিপাড়া গ্রামে গ্রাম্য শালিসের নামে এক গৃহবধূকে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করা ও পেটানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে এলাকার কতিপয় যুবক ওই গৃহবধূ ও তার কথিত প্রেমিককে মারপিট করে ১০০ বার কান ধরে উঠবস করায়। উঠবস করার সময় গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ ও তার স্বামী বেলাল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী বেলাল হোসেন কাজে গেলে বাড়িতে একাকি ছিলেন গৃহবধূ। নূর ইসলাম নামে গ্রামের এক ব্যক্তি এসময় ঐ গৃহবধুর ঘরে ঢুকে পড়ে। ঘটনাটি কয়েকজন প্রতিবেশী লক্ষ্য করেন। এসময় তারা ঐ গৃহবধূর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। অসামাজিক মেলামেশার অভিযোগে এলাকবাসী ঐ দুইজনকে বাড়ি থেকে ধরে পাশের আখানগর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যায় এবং ইউপি সদস্য মনিরাম বর্মন ও ইউপি সদস্যা তাহেরা বেগমের নেতৃত্বে গ্রামে শালিস বসানো হয়। বিকাল ৫ টায় শালিসে গৃহবধূ ও নূর ইসলামকে অপরাধী সাব্যস্ত করে তাদের দুজনকে মারপিট ও কানধরে উঠবস করানো হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামী বেলাল হোসেন রুহিয়া থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। রুহিয়া থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বিষয়টি জানার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্যসহ আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।