যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন আরও দু’নারী। তারা বলেছেন, ডনাল্ড ট্রাম্প তাদের শরীর স্পর্শ করেছেন বেপরোয়াভাবে। শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। তাদের একজন বলেছেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের হাত আমার পুরো শরীর স্পর্শ করেছে। এই দু’নারীর নাম জেসিকা লিডস ও মিসেস রাসেল কুকস। জেসিকা লিডস একটি পেপার কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেছেন, ১৯৮০র দশকের গোড়ার দিকে তিনি একটি ফ্লাইটে করে নিউ ইয়র্কে যাচ্ছিলেন। তার পাশের সিটেই বসা ছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এক পর্যায়ে ট্রাম্প ‘আর্মরেস্ট’ বা হাত রাখার হ্যান্ডেলটা উঠিয়ে রাখেন এবং তাকে আলিঙ্গন করা শুরু করেন। ‘তার হাত আমার পুরো শরীর স্পর্শ করতে থাকে’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এসব কথা বলেছেন ওই দু’নারী। গত সপ্তাহের শুক্রবার ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০০৫ সালের একটি অডিও-ভিডিও টেপ ফাঁস করে ওয়াশিংটন পোস্ট। তাতে তার যৌন জীবনের গোপন কথা বেরিয়ে আসে। তিনি স্বীকার করেন, তিনি একজন বিবাহিত নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বেপরোয়াভাবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। তার পর দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক হয়। সেখানে তিনি স্বীকার করেন, অনুমতি ছাড়াই তিনি নারীদের চুমু দেয়ার পক্ষে। তাদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়ার পক্ষে। কিন্তু এসব জিনিস তিনি নিজে কখনও করেন নি। কিন্তু ট্রাম্প যখন সেন্ট লুইসে এসব কথা বলছিলেন তখন ম্যানহাটানের বাসায় বসে অস্থির হয়ে উঠছিলেন ৭৪ বছর বয়সী জেসিকা লিডস। তিনি মনে করছিলেন, তার মুখের ওপর ট্রাম্প মিথ্যা কথা বলছেন। নিজের এপার্টমেন্টে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, আমার তখন মনে হচ্ছিল টিভির স্ক্রিনে ঘুষি মারি।
এখন থেকে তিন দশকেরও বেশি আগে তিনি একটি পেপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তখন ম্যানহাটান থেকে ব্যবসার কাজে তিনি যাচ্ছিলেন নিউ ইয়র্ক। উঠেছিলেন ফার্স্টক্লাস কেবিনে। তার পাশের সিটেই ডনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লাইট উড্ডয়নের ৪৫ মিনিটের মধ্যে ট্রাম্প তার আর্মরেস্ট উঠিয়ে দিয়ে জেসিকাকে স্পর্শ করা শুরু করেন। জেসিকা বলেন, ট্রাম্প আমার বুক স্পর্শ করেন। স্কার্টের ভিতর দিয়ে হাত প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে অক্টোপাসের মতো মনে হচ্ছিল। অক্টোপাসের মতো আমার সারা শরীর সে গ্রাস করেছিল। জেসিকা যখন বুঝতে পারলেন এটা তাকে নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ছে তখন তিনি সিট ছেড়ে উঠে যান। বিমানের পিছনে গিয়ে বসেন। এ কাহিনী তিনি এ যাবত ঘনিষ্ঠ কমপক্ষে ৪ জনকে বলেছেন তিনি।
অন্যদিকে ২০০৫ সালে ট্রাম্পের শিকারে পরিণত হন মিসেস রাসেল কুকস। তখন তিনি ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ারে অবস্থিত বে’রক গ্রুপের একজন রিসিপশনিস্ট। তখন তিনি ২২ বছর বয়সী যুবতী। একদিন লিফটের ভিতর ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়ে যায়। তিনি জানতেন তার কোম্পানি ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসা করে। তাই তিনি নিজেই ট্রাম্পের কাছে পরিচয় দেন। তারা হ্যান্ডশেক করেন। কিন্তু ট্রাম্প তাতেই থেমে গেলেন না। তিনি রাসেল কুকসকে ধরে চিবুকে চুমু দিতে শুরু করলেন। এরপর তিনি সরাসরি তার মুখে চুমু দিতে শুরু করেন। রাসেল কুকস বলেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। এটা ছিল অপরাধ। এটা ছিল ভীষণ অনুচিত। আমি ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।
হতভম্ভ মিসেস কুকস তার ডেস্কে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওহাইওতে বোন ব্রায়ানি ওয়েবকে ফোন করলেন। তাকে সব খুলে বললেন।
২০০৫ সালের রেকর্ডিংয়ে ট্রাম্পের যৌনতা নিয়ে রগরগে কথাবার্তা প্রকাশ হওয়ার পর তার প্রচারণা টিম তো নড়েচড়ে বসেছে। তবে তিনি বলেছেন, ওই রেকর্ডিংয়ের কথাবার্তা শুধু কথার কথা। তিনি আরও দাবি করেছেন, তার প্রার্থিতার পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে।
কিন্তু এ দাবিকে অস্বীকার করেছেন জেসিকা লিডস ও রাসেল কুকস। তারা যে কাহিনী প্রকাশ করেছেন তা এর আগে একই রকম অভিযোগ করা কিছু নারীর সঙ্গে মিলে যায়। এমন নারীর মধ্যে আছেন সাবেক মিস ইউটাহ টেম্পল তাগার্ট। তিনি বলেছেন, যখন তিনি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। ওই সময় একাধিকবার তার মুখে চুমু খেয়েছেন ডনাল্ড ট্রামপ। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস ফোনে কথা বলে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে এসব নারীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, এসব কিছুই কখনও ঘটেনি। ট্রাম্প উল্টো নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। বলেন, এ পত্রিকাটি তাকে আঘাত করার চেষ্টা করছে। যদি এসব রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় তাহলে এই সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে তিনি বিরক্তি সৃষ্টিকারী মানুষ বলে আখ্যায়িত করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় চুমু দেয়া বা আঁকড়ে ধরার যে অভিযোগ রেকর্ডিংয়ে আছে তা কি আসলে কখনো ঘটেছিল। জবাবে ট্রাম্প আবারও বলেন, না। আমি এটা কখনও করি নি।
কিন্তু যে নারীরা প্রথমবারের মতো তাদের কাহিনী শেয়ার করেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে, তাদের বর্ণনা তো ২০০৫ সালের ওই রেকর্ডিংকেও ছাড়িয়ে যায়।
এখন থেকে তিন দশকেরও বেশি আগে তিনি একটি পেপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তখন ম্যানহাটান থেকে ব্যবসার কাজে তিনি যাচ্ছিলেন নিউ ইয়র্ক। উঠেছিলেন ফার্স্টক্লাস কেবিনে। তার পাশের সিটেই ডনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লাইট উড্ডয়নের ৪৫ মিনিটের মধ্যে ট্রাম্প তার আর্মরেস্ট উঠিয়ে দিয়ে জেসিকাকে স্পর্শ করা শুরু করেন। জেসিকা বলেন, ট্রাম্প আমার বুক স্পর্শ করেন। স্কার্টের ভিতর দিয়ে হাত প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে অক্টোপাসের মতো মনে হচ্ছিল। অক্টোপাসের মতো আমার সারা শরীর সে গ্রাস করেছিল। জেসিকা যখন বুঝতে পারলেন এটা তাকে নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ছে তখন তিনি সিট ছেড়ে উঠে যান। বিমানের পিছনে গিয়ে বসেন। এ কাহিনী তিনি এ যাবত ঘনিষ্ঠ কমপক্ষে ৪ জনকে বলেছেন তিনি।
অন্যদিকে ২০০৫ সালে ট্রাম্পের শিকারে পরিণত হন মিসেস রাসেল কুকস। তখন তিনি ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ারে অবস্থিত বে’রক গ্রুপের একজন রিসিপশনিস্ট। তখন তিনি ২২ বছর বয়সী যুবতী। একদিন লিফটের ভিতর ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়ে যায়। তিনি জানতেন তার কোম্পানি ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসা করে। তাই তিনি নিজেই ট্রাম্পের কাছে পরিচয় দেন। তারা হ্যান্ডশেক করেন। কিন্তু ট্রাম্প তাতেই থেমে গেলেন না। তিনি রাসেল কুকসকে ধরে চিবুকে চুমু দিতে শুরু করলেন। এরপর তিনি সরাসরি তার মুখে চুমু দিতে শুরু করেন। রাসেল কুকস বলেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। এটা ছিল অপরাধ। এটা ছিল ভীষণ অনুচিত। আমি ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।
হতভম্ভ মিসেস কুকস তার ডেস্কে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওহাইওতে বোন ব্রায়ানি ওয়েবকে ফোন করলেন। তাকে সব খুলে বললেন।
২০০৫ সালের রেকর্ডিংয়ে ট্রাম্পের যৌনতা নিয়ে রগরগে কথাবার্তা প্রকাশ হওয়ার পর তার প্রচারণা টিম তো নড়েচড়ে বসেছে। তবে তিনি বলেছেন, ওই রেকর্ডিংয়ের কথাবার্তা শুধু কথার কথা। তিনি আরও দাবি করেছেন, তার প্রার্থিতার পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে।
কিন্তু এ দাবিকে অস্বীকার করেছেন জেসিকা লিডস ও রাসেল কুকস। তারা যে কাহিনী প্রকাশ করেছেন তা এর আগে একই রকম অভিযোগ করা কিছু নারীর সঙ্গে মিলে যায়। এমন নারীর মধ্যে আছেন সাবেক মিস ইউটাহ টেম্পল তাগার্ট। তিনি বলেছেন, যখন তিনি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। ওই সময় একাধিকবার তার মুখে চুমু খেয়েছেন ডনাল্ড ট্রামপ। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস ফোনে কথা বলে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে এসব নারীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, এসব কিছুই কখনও ঘটেনি। ট্রাম্প উল্টো নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। বলেন, এ পত্রিকাটি তাকে আঘাত করার চেষ্টা করছে। যদি এসব রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় তাহলে এই সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে তিনি বিরক্তি সৃষ্টিকারী মানুষ বলে আখ্যায়িত করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় চুমু দেয়া বা আঁকড়ে ধরার যে অভিযোগ রেকর্ডিংয়ে আছে তা কি আসলে কখনো ঘটেছিল। জবাবে ট্রাম্প আবারও বলেন, না। আমি এটা কখনও করি নি।
কিন্তু যে নারীরা প্রথমবারের মতো তাদের কাহিনী শেয়ার করেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে, তাদের বর্ণনা তো ২০০৫ সালের ওই রেকর্ডিংকেও ছাড়িয়ে যায়।