স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: ঈদের পর বুধবার বিকাল ৫টা পযন্ত গত ১৯ঘন্টায় গাজীপুর জেলা সদর, কালিয়াকৈর ও কাপাসিয়ায় ৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দুপুরে দুর্বৃত্তরা গাজীপুর মহানগরের উত্তর বিলাশপুর এলাকার এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দূর্বৃত্তরা। গাজীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। বিকালে কাপাসিয়ায় ভাতিজার ছুড়ির আঘাতে নিহত হয়েছেন চাচা। মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর সদরের খাইলকুর এলাকায় খুন হয়েছে সিটিকপোরেশননের কাউন্সিলরের গাড়ি চালক ও কালিয়াকের এক পোষাক কমী।
গাজীপুরে নিহত বিল্লাল হোসেন (২৪) গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম বিলাশপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
কাপাসিয়ায় নিহতের নাম হাফিজ উদ্দিন (৫০)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার টুক ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা বিল্লাল হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুর দুইটার দিকে উত্তর বিলাশপুর এলাকায় জনৈক আমানের বাড়ির পাশে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আহতাস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভতি করেন। ওখানে চিকিৎসকধীন অবস্থায় বিল্লাল হোসেন মারা যায়।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোঃ হাসান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের দুই হাতের কুনুইয়ের উপরে এবং কোমরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে জেলার কাপাসিয়া উপজেলার টুকনয়নপুর এলাকায় ভাতিজার ছুরির আঘাতে চাচা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম হাফিজ উদ্দিন (৫০)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার টুক ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।
বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দোকান বাকির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
স্থানীয়রা জানান, দোকান বাকির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিল্লাল তার চাচা হাফিজকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই হাফিজ মারা যান। এসময় বাবাকে বাঁচাতে এসে ছেলে কবির হোসেনও (২৫) আহত হয়েছেন।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘দোকান বাকির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে খুনের খবর শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।’
এছাড়া গাজীপুর সদরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিল্লুর রহমান মুকুলের গাড়িচালক নিহত ও তার ছেলে আহত হয়েছেন।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে নিহতের লাশ গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, মহানগরের দক্ষিণ খাইলকৈর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে কেরাম খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হুমায়ুন কবির (১৯) কে মারধর করে কয়েকজন যুবক। ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে হুমায়ুনের বাবা মোতালেব মিয়া ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় দিদার, আবুল, সজীব ও লিমনসহ তাদের সঙ্গীরা তার উপর চড়াও হয়। এলোপাতাড়ি মারধোর করলে মোতালেব মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোতালেবকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার চান্দরা এলাকার এপেক্স লেনজারি নামক একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত এক বাবুর্চি মকবুল হোসেনের ঝুলন্ত লাশ কারখানার পাশের তার বাসা থেকে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করাতে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায়।
ভোগড়া পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদশক(এসআই) মোবারক হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।